দীর্ঘ ২ বছরের লড়াই শেষে অবশেষে করোনা মুক্ত হতে চলেছে ভারতবর্ষ। বেশ কিছুদিন ধরেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী করোনা ভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী ছিল আর এদিন শুক্রবারও সেই একই ট্রেন্ড বজায় থাকলো। দেশে করোনার এক্টিভ কেস একেবারে কমে দাঁড়ালো ৭০হাজারেরও নীচে। সাথে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও যথেষ্ট কমেছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৩৯৬ জন গত ২৪ ঘণ্টায়। যে সংখ্যাটা গতকাল সাড়ে ছ’হাজারের সামান্য উপরে ছিল। অ্যাকটিভ কেস ধীরে ধীরে কমছে। দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বর্তমানে ৬৯ হাজার ৮৯৭ জন। ০.১৬ শতাংশে অ্যাকটিভ কেসের হার কমে দাঁড়িয়েছে।
ভারতবর্ষে সত্যিই সংক্রমণে লাগাম টানা সম্ভব হয়েছে বিধিনিষেধ জারি করে এবং টিকাকরণে জোর দিয়েই। কিন্তু সেই একই ট্রেন্ড অনুযায়ী এখনও চিন্তা ধরাচ্ছে করোনার মৃত্যুহার। যেমন ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ফের ঊর্ধ্বমুখী মৃত্যু। ২০১ জন একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। যা সামান্য হলেও বেশি আগের দিনের থেকে। দেশে কোভিডের বলি ৫ লক্ষ ১৪ হাজার ৫৮৯ জন এখনও পর্যন্ত। দেশের সুস্থতার হার লাগাতার স্বস্তি দিচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে, দেশে ৪ কোটি ২৩ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭০ জন এখনও পর্যন্ত করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১৩ হাজার ৪৫০ জন গত ২৪ ঘণ্টায়। ৯৮.৬৪ শতাংশ সুস্থতার হার।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, প্রায় ১৭৮ কোটি ২৯ লক্ষের বেশি ডোজ করোনার টিকা এখনও পর্যন্ত দেশে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে ২৪ লক্ষের বেশি মানুষ গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক সমীক্ষায় করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে মৃতদের ৯২ শতাংশেরই টিকা নেওয়া ছিল না তা প্রকাশ্যে এসেছে। অর্থাৎ, কেউ টিকা না নিলে তার মৃত্যুর ঝুকি বাড়ছে। সেকারণেই সরকার টিকাকরণে জোর দিচ্ছে। টিকাকরণের পাশাপাশি টেস্টিংও চলছে। যেমন ৯ লক্ষের ২৩ হাজার ৩৫১ জনের নমুনা গতকাল পরীক্ষা হয়েছে।