সম্প্রতি কোভিড গ্রাফ উর্দ্ধমুখী রয়েছে। দেশের করোনা গ্রাফ বেশ কয়েকদিন আগেও কিন্তু নিম্নমুখী ছিল। কিন্তু বর্তমানে আবারও বেড়েছে করোনা সংক্রমণের হার। যা দেশবাসীর নতুন করে দুশ্চিন্তা বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। আর আজকের করিনা গ্রাফ দেখলে সত্যিই চোখ কপালে উঠবে।
বর্তমানে স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে পাঠানো রিপোর্ট দেখলে বোঝা যাচ্ছে, দেশে আবারও নতুন করে করে করোনা ভাইরাসে গত একদিনে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৪১ জন। উপরন্তু মৃত্যুও হয়েছে ১০জনের। যদিও আজকে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে উঠেছেন মোট ২৩৬৩ জন।
গতদিনের তুলনায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা একদিনের মধ্যেই বেড়ে দাঁড়ালো ৪ হাজার জনে। দেশে ২১,১৭৭ জন অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা, গতকাল যে সংখ্যাটা ছিল ১৯০০০ এর কাছে।পাশাপাশি বাড়ছে পসিটিভিটি রেটও। বর্তমানে যা ০.৮৪ শতাংশ।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হল যে করোনা ভাইরাসের পরিসংখ্যান নিয়ন্ত্রিত ছিল তা বর্তমানে এভাবে বাড়ছে কি করে?তাহলে কি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে করোনা বিধি শিথিল করাই কাল হয়েছে দাঁড়ালো? দৈনন্দিন করোনা গ্রাফার বারবাড়ন্ত সেইদিকেই সন্দেহ উস্কে দিচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রের থেকে নতুন কোনও করোনা বিধি সম্পর্কিততথ্য দেওয়া হয়নি এখনও পর্যন্ত। উল্টে মহামারীর বিরুদ্ধে জোরদার লড়াইয়ের প্রধান হাতিয়ার হয়েছে উঠেছে টিকাকরণ। এখনও অবধি ১৯৩ কোটি ৮৩ লক্ষের বেশি করোনা টিকা দেশবাসু পেয়ে গিয়েছেন। পাশাপাশি বৃদ্ধ মানুষদের বুস্টার ডোজ ও বাচ্চাদের প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকাকরণ চলছে। যদিও এখনও অবধি কবে ৫ থেকে ১২ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া হবে সে ব্যাপারে কোনও তথ্যই দেওয়া হয়নি।
তারমধ্যে বেশি চিন্তা ধরাচ্ছে , মহারাষ্ট্র,তামিলনাড়ু। কারণ এখানেও হুহু করে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা। এছাড়া সম্প্রতি উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ বাড়ছে বলে জানা গিয়েছে। যেসব রাজ্যে পরিস্থিতি কোভিডের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাক্কায় ততটা উদ্বেগজনক হয়নি, এবার সেখানেও করোনার নতুন স্ট্রেন দাপট দেখানো শুরু করেছে।