দেশের বিভিন্ন রাজ্যে করোনা সংক্রমনের নতুন ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ নিয়ে চিন্তা থাকলেও আইসিএমআর কিছুটা হলেও স্বস্তি দিল । আইসিএমআর এর বিশেষজ্ঞদের মতে , এই নতুন করোনা সংক্রমনের ঊর্ধ্বমুখী সংখ্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তার পাশাপাশি করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দিলেন । তার মধ্যেই শেষ 24 ঘন্টায় করোনা সংক্রমনের সংখ্যা আরও নিশ্চিন্ত করল দেশবাসীকে । একদিকে যেমন সংক্রমনের সংখ্যা কমলো অন্যদিকে অ্যাক্টিভ কেসও কমলো ।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের থেকে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ২,৫৬৮ জন গত ২৪ ঘণ্টায়। যে সংখ্যা গতকাল ৩ হাজারের বেশি ছিল। যার মধ্যে শুধু দিল্লিতেই হাজারের উপরে ।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নিম্নমুখী সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যাও। বর্তমানে ১৯ হাজার ১৩৭টি অ্যাকটিভ কেস। গোটা দেশে আপাতত ০.০৪ শতাংশ অ্য়াকটিভ কেসের হার। রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে , দেশে একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জন। এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা দেশে ৫ লক্ষ ২৩ হাজার ৮৮৯।
চতুর্থ ঢেউয়ের আগমন হরা সংখ্যা আর করোনা সংক্রমনের ঊর্ধ্বমুখী পরিসংখ্যান নিয়ে উদ্বিগ্ন জনগণ একটু স্বস্তি পেল সুস্থতার হার দেখে । পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে ৪ কোটি ২৫ লক্ষ ৪১ হাজার ৮৮৭ জন এখনও পর্যন্ত করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় যার মধ্যে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২৯১১ জন। ৯৮.৭৪ শতাংশ সুস্থতার হার। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, দেশে ১৮৯ কোটি ৪১ লক্ষের বেশি ডোজ করোনার টিকা এখনও পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চলছে টেস্টিংও। বিধিনিষেধ উঠে গেলেও মাস্ক-স্যানিটাইজার এর ব্যবহার করা উচিত, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার প্রয়োজন এখনও রয়েছে। করোনা থেকে বাঁচতে টিকাকরণের প্রয়োজন রয়েছে তাই টিকাকরণ করতে হবে।