সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন দেশের করোনা (Coronavirus) পরিসংখ্যানে বড়সড় স্বস্তি। অনেকটা নামল দেশের দৈনিক কোভিড সংক্রমণ, নিম্নমুখী মৃত্যু। কমেছে অ্যাকটিভ কেসও। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড (COVID-19)পজিটিভ হয়েছেন ২২৮৮ জন। সোমবারও যা ছিল ৩২০০-র বেশি। একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারীর কবল থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ হাজারের বেশি রোগী।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভারতে মহামারীর আর কোনও ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই। সে কথা যে সত্যি, দেশের নিম্নমুখী কোভিড পরিসংখ্যানই তার প্রমাণ। মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম বুলেটিন অনুযায়ী, অ্য়াকটিভ কেস (Active cases) ক্রমশ কমছে। এই মুহূর্তে তা ১৯ হাজার ৬৩৭। পজিটিভিটি রেট কমে দাঁড়িয়েছে ০.৪৭ শতাংশ।
দেশের করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও চিন (China)-সহ একাধিক দেশে এখনও যথেষ্ট উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান। একদিনে চিনে প্রায় ৩৫০০ জন করোনায় আক্রান্ত, যার মধ্যে বেশিরভাগই উপসর্গহীন। মৃত্যুর হার অবশ্য কম। চিনের সাংহাই শহরে দীর্ঘ সময় ধরে লকডাউন (Lockdown) জারি ছিল। পরে সংক্রমণ খানিকটা বাগে আসায় তা উঠে গিয়েছে। তবে সতর্কতা জারি রয়েছে এখনও।
এদিকে, দেশে মহামারীর মোকাবিলায় জোরকদমে চলছে টিকাকরণ (Corona vaccination)। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশের ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সি ৩ কোটিরও বেশি নাগরিক ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন, যা বড়সড় সাফল্য বলেই মনে করছে কেন্দ্র। প্রবীণদের বুস্টার ডোজ এবং কমবয়সিদের প্রিকশন ডোজ দেওয়া হয়েছে। দেশে ৫ থেকে ১২ বছর বয়সিদেরও টিকাকরণ শুরু হবে। তবে তার দিনক্ষণ এখনও জানা যায়নি।