যতই চিনে করোনা নিয়ে টালমাটাল অবস্থা হোকনা কেন, দেশের অবস্থা কিন্তু এখনও স্বস্তিজনক। এক হাজারের নীচে রয়েছে দৈনিক করোনা সংক্রমন। পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যাও আগের তুলনায় কমেছে অনেকটাই। যদিও ওই মুহূর্তেই উদ্বেগ কেটে যাচ্ছেনা একেবারেই। দিল্লির অনেক গুলি স্কুলে করোনা আবারও থাবা বসেচ্ছে। তাই আবারও অ্যাকটিভ কেস বাড়তে থাকছে। তার উপর আবার সিবিএসই বোর্ডে পড়া ছাত্র ছাত্রীদের পরিবার বোর্ডের সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ হয়ে আছেন।
শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৭৫ জন। যার মধ্যে প্রায় ৩৬৬ জন দিল্লিতেই আক্রান্ত। জানা যাচ্ছে, করোনার কারণে ২৭ শতাংশই শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের মধ্যে। এখনও অবধি দিল্লির হাসপাতালে সব মিলিয়ে মোট ৫১ জন করোনার কারণে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ১৪ জনই বাচ্চা। দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা সব মিলিয়ে বেড়ে ১১ হাজার ৩৬৬। গোটা দেশে আপাতত ০.০৩ শতাংশ অ্য়াকটিভ কেসের হার। রিপোর্ট বলছে, করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন একদিনে ৪ জন। দেশে কোভিডে ৫ লক্ষ ২১ হাজার ৭৪৭ জন মোট মৃতের সংখ্যা।
এরই মধ্যে সিবিএসই প্রস্তাব diyechev, মে মাসে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের অন্য স্কুলে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে দিল্লি ও এনসিআরে। সুযোগ পাওয়া যাবে না নিজেদের স্কুলে পরীক্ষা দেওয়ার। অভিভাবকরা এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ। এখনও পুরোপুরি কাটেনি করোনার ভয়। এর মধ্যে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কায় তাঁরা বোর্ডের এমন সিদ্ধান্তে।
দেশের সুস্থতার হার এখনো পর্যন্ত স্বস্তিজনক সে যতই দিল্লির করোনা গ্রাফ চিন্তায় রাখুক। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে ৪ কোটি ২৫ লক্ষ ৭ হাজার ৮৩৪ জন এখনও পর্যন্ত করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৭৯৬ জন গত ২৪ ঘণ্টায়। ৯৮.৭৬ শতাংশ সুস্থতার হার। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, দেশে প্রায় ১৮৬ কোটি ৩৮ লক্ষের বেশি ডোজ করোনার টিকা এখনও পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে ৬ লক্ষের বেশি গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন। বিধিনিষেধ উঠে গেলেও সংক্রমণ কোনওভাবেই যাতে মাথাচাড়া না দেয়, তার জন্য টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে টেস্টিংয়েও জোর দেওয়া হচ্ছে। দেশে ৩ লক্ষ ৯১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা গতকাল হয়েছে।