করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রন থেকে ধীরে ধীরে মুক্তি পেয়েছে দেশ। কিন্তু যেমন সংক্রমণ কমেছে একদিনেই। করোনার এক্টিভ কেসের সংখ্যাও নিম্নমুখী। তাই দেশের বিভিন্ন রাজ্যেও করোনা বিধি লঘু হচ্ছে। তবে দেশের দৈনিক পজিটিভিটি রেট গত ২৪ ঘণ্টায় ঊর্ধ্বমুখী।
সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৫১ জন। যে সংখ্যাটা গতকাল ছিল ১৯ হাজারের বেশি। একলাফে অ্যাকটিভ কেস অনেকটা কমেছে। বর্তমানে দেশে ২ লক্ষ ২ হাজার ১৩১ সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা। এক্টিভ কেস এক শতাংশেও নিচে নেমে গিয়েছে (০.৪৭ শতাংশ)। ভারতে করোনা পজিটিভিটি রেট এই মুহূর্তে কমে ১.৯৩ শতাংশ। যা বেশি গতকালের তুলনায়। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় বিধিনিষেধ শিথিল হচ্ছে। এদিকে, ব্রিটেনও সমস্ত করোনাবিধি তুলে নেওয়ার দিকে হাঁটতে চলেছে। অস্ট্রেলিয়া প্রশাসন পর্যটকদের জন্য দেশের সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সংক্রমণে লাগাম টানা বিধিনিষেধ জারি করে এবং টিকাকরণে জোর দিয়ে সম্ভব হলেও এখনও খানিকটা চিন্তায় রাখছে ভারতের মৃত্যুহার। যদিও মৃতের সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় অনেকখানি কমল। একদিনে দেশে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২০৬ জন। যা ছ’শোর গণ্ডি ছাড়িয়েছিল গতকালের পরিসংখ্যানে। এখনও পর্যন্ত ৫ লক্ষ ১২ হাজার ১০৯ জন কোভিডের বলি দেশে।
তবে করোনাজয়ীরা আশার আলো দেখাচ্ছেন এই উদ্বেগের মাঝেও। পরিসংখ্যান বলছে, ৪ কোটি ২১ লক্ষ ২৪ হাজার ২৮৪ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন দেশে এখনও পর্যন্ত। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৯০১ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৩৩ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, দেশে প্রায় ১৭৫ কোটি ৪৬ হাজারের বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে এখনও পর্যন্ত। টিকাকরণের পাশাপাশি চলছে টেস্টিংও। যেমন ৮ লক্ষের ৩১ হাজার ৮৭ জনের নমুনা গতকাল পরীক্ষা হয়েছে।