ক্রমশ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে দেশে। করোনার ২৫৪১ টি নতুন কেস শেষ ২৪ ঘন্টায় প্রকাশ্যে এসেছে। যার মধ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। যেখানে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬, ৫২২।
কেন্দ্রের পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যাবে যে , আগের থেকে কিছুটা হলেও বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। যা এই মুহূর্তে ০.৮৪ শতাংশ। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৫২২ জন। যা রবিবারও ছিল ১৫ হাজার ৮৭৩। একদিনে ১৮৬২ জন মহামারীর কবল থেকে সুস্থ হয়েছেন, যা ৯৮.৭৫ শতাংশ শতকরা হিসেবে। দিল্লি, মহারাষ্ট্রের ঊর্ধ্বমুখী কোভিড গ্রাফ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এছাড়া সতর্কবার্তা দিয়েছে কেন্দ্র কর্ণাটক ও বাংলার পরিস্থিতি নিয়েও। তবে এ মোটের উপর নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি। কোনও মৃত্যুর খবর ছিলনা বেশ কদিন কিন্তু শনিবার আবার ১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও , রবিবার আবারও মৃত্যুহীন বাংলা।
দেশে করোনার কেস বেড়ে যাওয়ার জন্য মূল দায়ী দিল্লির এই করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি। দিল্লিতে শেষ ২৪ ঘন্টায় করোনাতে ১০৮৩ টি নতুন কেস ধরা পড়েছে এবং এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছেন। করোনায় ৩৯৭৫ টি অ্যাক্টিভ কেস আপাতত দিল্লিতে রয়েছে। যেখানে ৪.৪৮ শতাংশ পৌঁছে গিয়েছে সংক্রমণের হার।
ভারতীয় চিকিৎসা অনুসন্ধান পরিষদ থেকে জানানো যে ভারতে করোনাভাইরাস এর জন্য ৩ লক্ষ ২ হাজার ১১৫টি স্যাম্পল টেস্ট করা হয়েছে। মোট ৩৮০ কোটি ৫০ লক্ষ ১৯ হাজার ৮১৭ টি টেস্ট রবিবার পর্যন্ত করা হয়ে গিয়েছে।
সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দিল্লিতে মাস্ক পড়া আবশ্যক করা হয়েছে, না পরলে ৫০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে, বলা হয়েছে সরকারি নির্দেশিকা তে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, দেখা যাচ্ছে যে সংক্রমণ বাড়লেও সচেতনতার অভাব, মাস্ক ছাড়াই বর্তমানে বাইরে বার হচ্ছেন বহু মানুষ। করোনা সংক্রমণ কিছুটা হ্রাস পাওয়ার পর থেকেই বিধিনিষেধ সংক্রান্ত অসচেতনতা দেখা গিয়েছে। যার কারণেও সংক্রমণ বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে।