অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের (Cyclone Yaas) জেরে গ্রাম বাংলার বহু এলাকায় জল ঢুকে গিয়েছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন তিনি।
বুধবার ইয়াস পরবর্তী সাংবাদিক সন্মেলনে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন , ‘ সমূদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় গ্রামগুলিতে জল ঢুকছে। পূর্ব মেদিনীপুরে ভেঙে গেছে প্রায় ৫১টি নদীবাঁধ । দক্ষিণ ২৪ পরগনা তে গোসাবার গ্রামগুলি প্লাবিত। সারা রাজ্যে প্রায় ২০ হাজার বাড়ি ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দিঘা, শংকরপুর, তাজপুর ইত্যাদি এলাকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নন্দীগ্রামে অঞ্চলে বহু গ্রাম জলের তলায়। শুধুমাত্র পূর্ব মেদিনীপুর থেকেই প্রায় ৩.৮ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। বাকি জায়গা থেকে প্রায় ১৫ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে’। ঘুর্ণিঝড়ের ফলে বহু জায়গায় বিদ্যুৎ এবং জল পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত ‘উপকূলবর্তী এলাকায় ১৩০ কিমি বেগে ঝড় রয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমানে ঘণ্টায় ৭৫ কিমি বেগে চলেছে। ঘুর্নিঝড় এর ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া প্রায় ৩-৪ ঘণ্টা ধরে চলেছে’। ঝড়ের জেরে দিঘায় তুমুল জলোচ্ছ্বাস। দক্ষিন ২৪ পরগনার কুলতলি, পাখিরালায়, সুন্দরবন, ফ্রেজারগঞ্জে বাঁধ ভেঙেছে বলে খবর।
ভেসে গিয়েছে দিঘা, শংকরপুর, তাজপুর ইত্যাদি বহু জায়গা। উড়ে গিয়েছে দোকান, বাড়ির ছাউনী, ভেঙ্গেছে নৌকা, এমনকি ওয়াচ টাওয়ার ও। উদ্ধরকার্যে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা টিম।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপধ্যায় আরও বলেন, ‘গোটা বাংলা দুর্যোগ কবলিত। ভরা কোটালের জন্য বাংলায় বেশি সমস্যা হচ্ছে। যতক্ষণ না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, ততক্ষণ কেউ প্লাবিত গ্রামে ফিরবেন না’। অন্যদিকে, ঝড়ের জেরে কলকাতায় যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে উড়ালপুলগুলিতে। বন্ধ রাখা হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরও। ঘুর্নিঝড় পরবর্তী সময়ে বাংলার ১০ জেলায় ১৭ কোম্পানি সেনা নামানো হয়েছে।