শয়ে শয়ে মুসলিম মহিলার ছবি অনলাইনে আপলোড করে তাঁদের নিলামে তোলার ঘটনায় অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ার ছাত্রকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হল। পাশাপাশি ‘বুল্লি বাই’ অ্যাপ কাণ্ডে উত্তরাখণ্ড থেকে আটক করা অভিযুক্ত মহিলাকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঠিক কী? ‘বুল্লি বাই’ (Bulli Bai) নামের একটি অ্যাপের মাধ্যমে মুসলিম মহিলাদের ‘হেনস্তা’ করার পন্থা নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। জানা যায়, ওই অ্যাপটিতে শয়ে শয়ে মুসলিম মহিলার ছবি তাঁদের অনুমতি ছাড়াই আপলোড করা হয়েছে। এই ছবিগুলি সংগ্রহ করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। এবং পণ্যের মতো ওই মহিলাদের দর হাঁকা হয়েছে। নিলামে তুলে তাঁদের বিক্রি করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়। অথচ, এসবের বিন্দু বিসর্গও জানতে পারেননি ওই মহিলারা।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় শুরু হয়ে যায় নেটদুনিয়ায়। আসলে এক মহিলা সাংবাদিকের নাম এবং ছবিও ‘বুল্লি বাই’ অ্যাপটিতে আপলোড করা হয়েছিল। ওই মহিলাই কোনওভাবে অ্যাপটি সম্পর্কে জানতে পারেন। তিনিই এই ঘটনার প্রতিবাদে প্রথম সরব হন। এরপর আসরে নামেন শিব সেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী (Priyanka Chaturvedi)। ঘটনায় শেষমেশ বেঙ্গালুরু থেকে ইঞ্জিনিয়ারের ছাত্র বিশাল ঝাকে গ্রেপ্তার করে মুম্বই পুলিশ। পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে উত্তরাখণ্ড থেকে আটক করা হয় এক মহিলাকে। বিশালকে গতকালই মুম্বই আনা হয়। আর মঙ্গলবার তাঁকে বান্দ্রা আদালতে পেশ করলে তাঁকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। বিশাল ও ওই মহিলা পরস্পরকে চিনতেন বলেই জানা গিয়েছে। দু’জনকেই জেরা করে ঘটনার শিকড় খোঁজার চেষ্টা করছে মুম্বই পুলিশ।
প্রসঙ্গত, মাস ছয়েক আগেও একইভাবে ‘সুল্লি বাই’ নামের একটি অ্যাপে মহিলাদের ছবি আপলোড করা হয়েছিল। যা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় পড়ে যায় নেটদুনিয়ায়। ছ’মাসের মধ্যে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল। অভিযোগ পাওয়ার পর তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক ওই সাইটগুলি ব্লক করে দেয়।