ছোটবেলা থেকে আমরা প্রায় প্রত্যেকেই জেনে আসছি গরু তৃণভোজী প্রাণী। ঘাস, লতাপাতা , খর বিচালি, ইত্যাদি খেয়েই তৃপ্ত থাকে এই গৃহপালিত প্রাণীটি। তবে কর্নাটকে তৃণভোজী এই প্রাণীটিই নাকি ভুল করে খেয়ে ফেলল ২০ গ্রাম ওজনের একটি সোনার চেন। ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমস এক প্রতিবেদনে এই খবরটি প্রকাশিত জানিয়েছে।
গরুকে ভারতের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মাতৃ রূপে পুজো করে, ভক্তি করে। তেমনটাই করছিল কর্ণাটকের একটি পরিবারের সদস্যরা। এই পুজো করতে গিয়েই ঘটল চরম বিপত্তি। পুজো চলাকালীন একটি আস্ত সোনার হার গিলে ফেলল সেই গরুটি। কিভাবে হল এই ঘটনা…
উত্তর কর্ণাটকে অবস্থিত একটি গ্রাম হল সিরসি তালুক। ভারতবর্ষের এই গ্রামে গরুকে পুজো করা হয় দেবী লক্ষ্মীর এক রূপ হিসাবে। নিষ্ঠাভরে পুজো করা হয় গোমাতার। পুজোর রীতি হিসাবে ফুল দিয়ে সাজানো হয় গরুটিকে, আর সাথে সাথে গলায় পরিয়ে দেওয়া হয় একটি সোনার হার (Golden Chain)। পুজো শেষ হলে আবার গলা থেকে খুলে নেওয়া হয় সেই সোনার হার। মাস খানেক পূর্বে প্রচলিত এই রীতি অনুযায়ী গোমাতার পুজো করছিলেন সিরসি তালুকের হিপানাহাল্লির বাসিন্দা শ্রীকান্ত হেগড়ে। গরুর গলায় চেন পরিয়ে রীতি শেষ হলে সেই চেইনটি খুলে ফুল ও পূজার অন্যান্য সামগ্রীর সঙ্গে গরুর সামনে রাখা হয়। পুজো শেষ হলে পরিবারের সদস্যরা হঠাৎ খেয়াল করে চেনটি সেখানে নেই। শশব্যস্ত হয়ে খোঁজাখুজি শুরু করেন তারা। কোথাও খুঁজে না পেয়ে হঠাৎ তাদের মনে সন্দেহ এর উদ্রেক হয় যে সামনে রাখা পুজোর থালা থেকে সোনার চেন টি গরু গিলে ফেলেছে।
গরুটির দিকে পরিবারের সদস্যদের নজরদারি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল এই ঘটনার পর। গরুর মলের সাথেই হয়তো চেন টি বেরিয়ে আসবে এমনটাই ভেবেছিলো শ্রীকান্তরা। নিয়মিত তাই জন্যই গোবর ঘেটে দেখা হচ্ছিলো। কিন্তু হারের খোঁজ মিলছিল না দিনের পর দিন চলে গেলেও। এক মাস অতিক্রান্ত যখন হয়ে গিয়েছে, শ্রীকান্ত খবর দেন পশু চিকিৎসককে আর ধৈর্য রাখতে না পেরে। হারের অবস্থান চিহ্নিত করেন চিকিৎসক গরুর পেটে স্ক্যান করে। তারপর সেই হার বার করা হয় অস্ত্রোপচার করে। কিন্তু পাকস্থলীতে থেকে এই এক মাসে ২ গ্রাম ক্ষয়ে গিয়েছিল হারটি। অর্থাৎ হারের ওজন ছিল ২০ গ্রাম, যখন চেনটি উদ্ধার হয় তার ওজন হয়েছিল তখন ১৮ গ্রাম।