ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনালের (DCGI) কিছু শর্তাবলী প্রযোজ্য করে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিন (Covaxin) ও কোভিশিল্ডকে (Covishield) বাজারে বিক্রি করা অনুমোদন দিয়েছে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য (Mansukh Mandavya)। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের (Health and Family Welfare Ministry) সূত্রের খবরে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে খোলা বাজারে দুটি ভ্যাকসিনের দাম নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে। যেহেতু ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল (DCGI) খোলা বাজারে কোভিশিল্ড (Covishield) এবং কোভ্যাক্সিন (Covaxin) বিক্রির অনুমোদন দিতে পারে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে, উভয় ভ্যাকসিনের দাম সবার জন্য সহজলভ্য করার জন্য আলোচনা করা হয়েছিল।
করোনার টিকা দেওয়ার সময় ভারতে সর্বাধিক দুটি ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হচ্ছে। একটি- সিরামের কোভিশিল্ড এবং অন্যটি- ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। যেহেতু সরকার পরিচালিত টিকাদান কর্মসূচি এখন অনেকাংশে সম্পূর্ণ হয়েছে, তাই রিপোর্ট রয়েছে যে এই দুটি টিকাই খোলা বাজারে বিক্রির জন্য অনুমোদিত হতে পারে। এর দাম কত হতে পারে সেই বিষয়ে চূড়ান্ত খবর সামনে না হলেও সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে খোলা বাজারে দুটি ভ্যাকসিনের দাম নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই বৈঠকের পরে একজন উচ্চ আধিকারিক বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার বর্তমানে প্রায় 205 টাকায় দুটি ভ্যাকসিনই কিনছে। এ কারণে বৈঠকে উপস্থিত অধিকাংশ মানুষ মনে করেন, এই মূল্যে ৩৩% লাভ যোগ করলেই যথেষ্ট হবে। এইভাবে, খোলা বাজারে Covishield এবং Covaccine-এর দাম প্রতি ডোজ প্রায় 275 টাকা হতে পারে। এছাড়াও, সরকার প্রতি ডোজ 150 টাকা সার্ভিস চার্জও অনুমোদন করতে পারে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, যারা বাজার থেকে করোনা টিকা কিনবেন তাদের কোইউন প্ল্যাটফর্মে নিজের নাম নথিভুক্ত কারার পাশাপাশি আগামী ৬ মাস নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ও জমা দিতে হবে। এখন দুটি টিকাই ইমার্জেন্সী ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত। ন্যাশানাল কোভিড ইমিউনাইজেশন প্রোগ্রামের অধীনে এই ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম চলছে। সূত্রের খবর সিরাম এবং ভারত বায়োটেক- দুটি সংস্থাই কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন খোলা বাজারে বিক্রির অনুমোদনের জন্য আলাদা আলাদা আবেদন করেছিল। তারা বলা হয়েছিল এখনও পর্যন্ত দেশের টিকাকর্মসূচিতে বড় ভূমিকা নিয়েছে এই দুটি টিকা। বিলিয়ন টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। টিকার ডোজ নেওয়া বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই কোনও সাইডএফেক্ট দেখা যায়নি। তারা সুরক্ষিত রয়েছে। এই যুক্তি দেখিয়ে দুটি টিকা বাজারে বিক্রি করার অনুমোদন চেয়েছিল সংস্থাগুলি।