করোনাভাইরাসের ডবল মিউট্যান্ট যে স্ট্রেনটি ভারতে পাওয়া গেছে সেই B.1.617.2-এর বিরুদ্ধে কার্যকরী কোভিশিল্ড। উল্লেখ্য, অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং অক্সফোর্ড মিলিত ভাবে করোনা রোধক কোভিশিল্ড টিকাটি তৈরি করেছিল। যেটি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে প্রস্তুত করা হচ্ছে।
ভারতে ভয়ঙ্কর ভাবে আঘাত হেনেছে B.1.617.2 এই স্ট্রেন টি। মূলত ভারতেই এই স্ট্রেনটি প্রথম পাওয়া গিয়েছিল। এই স্ট্রেন টির সংক্রমন শক্তি এত বেশি যে ভারতে কার্যত দ্বিতীয় ঢেউয়ে তছনছ করে দেয় এই স্ট্রেন টি। ভারতে দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে আসা এই স্ট্রেন টি
আশঙ্কা ধরিয়েছে অন্যান্য দেশগুলির মনেও। করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে যে ভ্যাকসিনগুলি দেওয়া হচ্ছে, সেগুলি করোনাভাইরাসের এই নতুন স্ট্রেনটির বিরুদ্ধে কতটা কার্যকরী তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এবারে এই বিষয়ে আশাব্যঞ্জক কথা শোনাল ব্রিটেনের স্বাস্থ্য দফতর এবং পাবলিক হেল্থ ইংল্যান্ড (PHE)। করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন B.1.617.2-এর বিরুদ্ধে শরীর কে মোকাবিলার জন্য ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ নেওয়া জরুরি। ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়া থাকলে B.1.617.2-এর নানা উপসর্গের বিরুদ্ধে লড়তে পারবে আপনার শরীর।বর্তমানে ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধেয়ে স্ট্রেন B.1.617.2-এর মোকাবিলা করা বিশাল একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতার কারণে দুটি ডোজের মধ্যবর্তী ব্যবধান যে অনেকটা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।কয়েকদিন আগেই ভারতে কোভিশিল্ড টিকার দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান বাড়িয়ে ১২-১৬ সপ্তাহ করা হয়। ল্যানসেটে সদ্য প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানানো হয় এতে করে নাকি টিকার কার্যকরিতা বৃদ্ধি পাবে। করোনা মোকাবিলায় ভারত যেখানে বিধ্বস্ত, তার ভেতর ডবল মিউটানট করোনা ভাইরাস এর বিরুদ্ধে কোভিশিল্ড- এর কার্যকারিতা এবং এই টিকার ব্যবধান বৃদ্ধিতেই অধিক কার্যকরীতা নিয়ে ল্যানসেট এর রিপোর্ট এই দুটি খবর নিঃসন্দেহে ভারতীয় দের মনে সস্তি এনে দেবে।