করোনা ভাইরাস আবার ত্রাস ছড়াতে শুরু করে দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়াতে। গত বুধবার একটি পরিসংখ্যান যা ‘দ্য কোরিয়া ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এজেন্সি’ (কেডিসিএ)-তে প্রকাশিত হয়েছে সেখানে করোনা ভাইরাসের বাড়াবাড়ির প্রমান পাওয়া গিয়েছে। এ দিন গত ২৪ ঘণ্টার সেই প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী এক লাফে নতুন করে সংক্রমিত পাঁচ লক্ষ!
খুবই ভয়ঙ্কর অবস্থা হয়ে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার করোনা সংক্রমনের। এখনও পর্যন্ত বিশেষজ্ঞদের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই দেশে গড়ে পাঁচ জনের একজন কোরোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। অসংখ্য মানুষ আক্রান্তের ফলে হাসপাতাল গুলোতে বেডের অভাব দেখা দিচ্ছে। সেখানকার প্রশাসন জানিয়েছে বিগত দিন পনেরোতে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা হাজারের নীচে নামতে পারেনি। সংক্রমণের পাশাপাশি বাড়ছে মৃত্যুও। মঙ্গলবারই ২৯১ জন সংক্রমিত প্রাণ হারিয়েছেন। দেশ জুড়ে প্রায় ৬০টি শ্মশানকে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশিক্ষণ খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন সুষ্ঠু ভাবে সৎকার কর্ম চালিয়ে যেতে।
হঠাৎ এই সংক্রমণ বৃদ্ধির পিছনে মূলত ওমিক্রনের নয়া সাব-ভেরিয়েন্ট ‘স্টেলথ রয়েছে’।ইতিমধ্যেই মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ সংক্রমিত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। নিভৃতবাসে রয়েছেন কমপক্ষে ১,৮০০,০০০ মানুষ সংক্রমিত হয়ে কিংবা সংক্রমিতের সংস্পর্শে এসে। প্রসঙ্গত, প্রতিষেধকের দু’টি ডোজ় পেয়েছেন দেশটির মোট জনসংখ্যার ৮৬.৬ শতাংশই। এমনকি ৬৩.২% বুস্টারও পেয়েছেন। তা সত্ত্বেও এই গুরুতর দিকে সংক্রমণ পরিস্থিতি মোড় নেওয়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বিশেষজ্ঞদের কপালে।
এদিকে করোনাভাইরাস চীনের সাংহাই-তেও থাবা বসিয়েছে। জিলিন প্রদেশের পর এবার সাংহাই, ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিচ্ছে করোনা চিনে। জল্পনা চলছিল ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির আওতায় হয়ত এবার শি জিনপিং সরকার সাংহাইতেও লকডাউন ঘোষণা করতে পারে। কিন্তু, চিন প্রশাসন সেই যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলেছে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন হাজার জন চিনের সাংহাইতে। কিন্তু, এখনও লকডাউন ঘোষণা করতে নারাজ চিনের প্রশাসন এই ব্যস্ত শহরে। করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে পরিবর্তে এলাকাবাসীর এবং করোনায় আক্রান্ত যাঁরা তাঁদের আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে, জানা গিয়েছে এমনটাই। উল্লেখ্য, হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা সংক্রমণ চিনের জিলিন প্রদেশে।