বর্তমান সময়ে আতঙ্কের অপর নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা। ভারতে দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে এই করোনা সংক্রমণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে অতিমারি বলে চিহ্নিত করেছে।
সারা পৃথিবী জুড়ে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। করোনার প্রথম ঢেউয়ে বলা হচ্ছিল শিশুদের ক্ষেত্রে এই করোনা ভাইরাসের প্রকোপ অতটা দেখা যায়নি। ভাবা হচ্ছিল হয়তো করোনা শিশুদের ক্ষেত্রে অতটা সংক্রামক নয়। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনা শিশু থেকে বয়স্ক সকলকেই মারাত্মক ভাবে কাঁবু করছে। নতুন প্রজাতির এই করোনা ভাইরাস শিশুদের জন্য কতটা চোখ রাঙাচ্ছে কীভাবে যত্ন নেবেন বাচ্চাদের এই মহামারীর সময়টাতে, জেনে নিন বিশদে স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রকাশিত গাইডলাইনের মাধ্যমে।
ডা. অপূর্ব ঘোষ, ডা. দিব্যেন্দু রায়চৌধুরী, ডা. কৌস্তব চৌধুরী, ডা. মিহির সরকার এবং ডা. প্রভাসপ্রসূন গিরি এই গাইডলাইনটি তৈরি করেছেন। এই গাইডলাইনে শিশুদের ক্ষেত্রে করোনার লক্ষণ কী কী, কীভাবে সতর্ক থাকতে হবে, তার বিস্তারিত নির্দেশ রয়েছে।
শিশুদের ক্ষেত্রে কি কি উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন শিশুদের ক্ষেত্রে মূত্রের পরিমাণ কমে যাওয়া, বমি হওয়া, ডাইরিয়া, খিদে কমে যাওয়া, জ্বর বার বার ফিরে আসা, ক্লান্ত হয়ে পড়া ইত্যাদি লক্ষণ হলে তা করোনা ভাইরাসের লক্ষণ হতে পারে। সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
যদি শিশু দের মধ্যে করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণ হয় তাহলে কি করণীয়।
দিনে অন্তত ৪-৫ লিটার জল খাওয়াতে হবে, ডাইরিয়া হলে ওআরএস (ORS) খাওয়ান। বেশি করে শাক সবজি, ফল ইত্যাদি খাওয়ান। জ্বর এলে প্যারাসিটামল খাওয়াতে পারেন ১৫ মিলিগ্রাম, তবে দিনে ৫ বারের বেশি নয়। বমি হলে ডম্পেরিডন দিন। নাক বন্ধ থাকলে স্যালাইন স্প্রে করতে পারেন। পেট খারাপের জন্য দিন প্রো-বায়োটিক।
এছাড়াও যেসমস্ত কাজ একেবারেই করণীয় নয় সেগুলি জেনে নিন। সাধারন ভাবে রেমিডিসিভার দেওয়ার প্রয়োজন নেই। অক্সিজেন ৯৪ এর নিচে না নামলে স্টেরয়েড নয়। আর বাড়ির বয়স্কদের কাছে আসতে দেবেন না এই সময়।