করোনার মহামারীর মাঝেই দোরগোড়ায় বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। দিন গুনে গুনে ক্যালেন্ডারে আর ২ মাসও বাকি নেই পুজোর। গত বছরে করোনা আবহে দুর্গাপুজো তার নিজস্ব জৌলুস হারিয়েছিল। এই বছর আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছে দুর্গাপুজো কমিটি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। প্রস্তুতির এবং উদ্যোগ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেক জায়গায় হয়েছে খুঁটি পুজো। অনেকে পুজোর কেনাকাটাও শুরু করে দিয়েছেন।
তবে যখন করোনা মহামারীর সাথে যুঝছে বিশ্ব তেমন পরিস্থিতিতে কীভাবে হবে বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসবের প্রস্তুতি। তাই নিয়ে কিছু নির্দেশিকা দিয়েছে ফোরাম ফর দুর্গোত্সব। এবারও দুর্গোৎসব হচ্ছে করোনার মধ্যেই। অক্টোবরে আসতে পারে করোনা তৃতীয় ঢেউ। ফলে করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে নানা সতর্কতা মাথায় রেখেই একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। এমনকি সেই সমস্ত নির্দেশাবলি ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের তরফেও পুজো কমিটিগুলোকে ইতিমধ্যেই নাকি দেওয়া হয়েছে। আপনিও জেনে নিন সেই সব গাইডলাইন….
১) মুখে মাস্ক ঢেকে এবং স্যানিটাইজার ব্যাবহার করেই করোনাকে প্রতিহত করতে হবে।
২) ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের জনগণের কাছে আবেদন রাতের জায়গায় সকালবেলাই ফাঁকায় ফাঁকায় প্যান্ডেল হপিং সেরে নিক দর্শনার্থীরা। সেভাবেই দেওয়া আছে গাইডলাইন।
২) পুজো কমিটির উদ্দেশ্যে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যতটা পারা যায় খোলামেলা মণ্ডপ বানাতে হবে। যাতে বাইরে থেকেই প্রতিমা দর্শন করতে পারে দর্শনার্থীরা।
৩) আগের বছর দুর্গাপুজোর আনন্দ ভার্চুয়ালি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বহু পুজো কমিটি। এই বছরেও সন্ধিপুজো হোক বা অষ্টমীর অঞ্জলি, সবটাই ডিজিট্যালি দেখানোর চেষ্টায় রয়েছে বহু পুজো কমিটি। পুজোর জন্যে মুখিয়ে থাকা বাঙালিদের কাছে পুজোর আনন্দ পৌঁছে দেওয়ার এটাই সেরা রাস্তা।
৪) ফোরাম ফর দুর্গোৎসব কড়া নির্দেশ রয়েছে মন্ডপে ঢুকতে গেলে অন্তত করোনা টিকার প্রথম ডোজ আবশ্যক। নাহলে মণ্ডপে প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে না। এমনকী সাথে সাথে এও নির্দেশ বলা হয়েছে যে পুজোর আয়োজক কমিটির সদস্যদের করোনা টিকার ডবল ডোজই আবশ্যক।
৫) এইবার ঠাকুরের ভোগে থাকবে না কাটা ফল।
৬) পুষ্পাঞ্জলি এবং সন্ধিপুজোর মতো সময় কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা।
৭) প্রতিমা বিসর্জনের সময়েও অল্প সংখ্যক সদস্যদের নিতে হবে। এক্ষেত্রেও পুজো কমিটিকেই নজরদারি চালাতে হবে।