দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে দাপট দেখিয়ে চলেছে করোনা ভাইরাস। তারই মধ্যে আবার বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নতুন আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে মাঙ্কিপক্স। যদিও বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সংক্রমণের নিরিখে করোনার সঙ্গে কোনও তুলনা চলে না মাঙ্কিপক্সের। এই রোগের সংক্রমণের হার শূন্য। তাই এমন কঠিন পরিস্থিতিতে করোনার থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এরই মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কোভিড পরিসংখ্যান নতুন করে চিন্তার ভাঁজ ফেলার মতো।
শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ২,১২৪ জন। যা গতকালের তুলনায় প্রায় ২৭ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে রাজধানী দিল্লিতেই আক্রান্ত ৪১৮ জন। প্রাণ হারিয়েছেন দু’জন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, ভারতে একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৫০৭।
সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় খানিকটা বাড়ল সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যাও। বর্তমানে দেশে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪ হাজার ৯৭১। যার মধ্যে মহারাষ্ট্রই বর্তমানে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ছাড়িয়েছে দু’হাজারের গণ্ডি। গোটা দেশে অ্য়াকটিভ কেসের হার আপাতত ০.০৩ শতাংশ।
সক্রিয় রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে থাকার পাশাপাশি স্বস্তিজনক সুস্থতার হারও। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৬ লক্ষ ২ হাজার ৭১৪ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১,৯৭৭ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৭৫ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ১৯২ কোটি ৬৭ লক্ষের বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন ১৩ লক্ষের বেশি। জোর দেওয়া হচ্ছে বুস্টার ডোজেও। বিধিনিষেধ উঠে গেলেও কোনওভাবেই যাতে সংক্রমণ মাথাচাড়া না দেয়, তার জন্য টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে জোর দেওয়া হচ্ছে টেস্টিংয়েও। গতকাল দেশে ৪ লক্ষ ৫৮ হাজার ৯২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।