চলতি বছরের প্রথম দিকে ভারতে আঘাত হেনেছিল করোনাভাইরাস এর তৃতীয় ঢেউ। তার দেড় দুমাস পর থেকেই ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছিল করোনা সংক্রমনের ঘটনা। আস্তে আস্তে একেবারেই নাগালে চলে এসেছিল পরিস্থিতি। কিন্তু গরম পড়তে না পড়তেই আবারও বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বিশেষত দিল্লিতে। করোনার ক্রমবর্ধমান গ্রাফ দেশজুড়ে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। ভারতে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ভাইরাসের ১ হাজার ২৪৭ টি নতুন কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। তবে, রবিবারের তুলনায় সোমবার ৯৩৬টি কম কেস পাওয়া গেছে। এর আগে রবিবার ২১৮৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে দিল্লি-এনসিআরের পরিস্থিতি কিছুটা উদ্বেগজনক।
নয়ডায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনার ১০৭ টি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৩ জন শিশুও রয়েছে। বর্তমানে নয়ডায় করোনার ৪১১টি সক্রিয় কেস রয়েছে। দেশের কথা বললে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯২৮ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। এখন পর্যন্ত মোট ৪,২৫,১১,৭০১ জন সুস্থ হয়েছেন। ভারতে করোনা থেকে সুস্থতার হার ৯৫ শতাংশের উপরে রয়েছে। দেশে করোনায় এ পর্যন্ত ৫ লাখ ২১ হাজার ৯৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার ২১৪ জন মারা গেছে
এর আগে রবিবার ভারতে করোনার ২১৮৩ টি নতুন সংক্রমনের কেস রিপোর্ট করা হয়েছিল। এছাড়া করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২১৪ জন। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ৫৪২টি।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) আরও জানিয়েছে যে গতকাল ভারতে করোনা ভাইরাসের জন্য ৪,০১,৯০৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, গতকাল পর্যন্ত মোট ৮৩,২৫,০৬,৭৫৫ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
দিল্লির অবস্থা কী?
সোমবার, ২৪ ঘন্টায় দিল্লিতে ৫০১ টি করোনার কেস পাওয়া গেছে। এর সাথে, দিল্লিতে ইতিবাচকতার হার ৭.৭২% এ পৌঁছেছে। গত ২৪ ঘন্টায় দিল্লিতে মাত্র ৬৪৯২ টি পরীক্ষা করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও, ৫০১ জনের পজিটিভ রেজাল্ট পাওয়া গেছে। যেখানে রবিবার ৫১৭ জনের করোনা পজিটিভ হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ১১৮৮ জন করোনা রোগী হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। বর্তমানে দিল্লির করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৯৭৩৫ টি শয্যা খালি রয়েছে। যেখানে ৮৭৫ টি কোভিড কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও, কোভিডের ১৩৬ টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র সক্রিয় মোডে রয়েছে।