করোনার ডেল্টা প্লাস (Delta Plus) ভ্যারিয়েন্ট রুখতে ভারত বায়োটেক এর আবিষ্কৃত করোনা টিকা কোভ্যাক্সিন (Covaxin) অনেক বেশি কার্যকরী। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল অ্যান্ড রিসার্চের (ICMR) সাম্প্রতিক একটি গবেষণা জানাচ্ছে এমনই এক তথ্য
সম্প্রতি আইসিএমআর এর এক গবেষণাপত্র
BioRxiv-তে প্রকাশিত হয়েছে ICMR-এর সমীক্ষায় উঠে আসা এক তথ্য। যদিও এই গবেষণাপত্রটি এখনও প্রকাশিত হয়নি, এটি এখনও প্রি প্রিন্ট স্তরে আছে বলেই জানা গিয়েছে। কিন্তু সূত্র অনুযায়ী এই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, কোভিডের (COVID-19) ত্রাস সৃষ্টিকারী প্রজাতি ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকরী ভারত বায়োটেক -এর কোভ্যাক্সিন। এমনকি উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের ক্ষেত্রে ৬৫.২ শতাংশ পর্যন্ত কাজ করছে কোভ্যাক্সিন। যতজন এই করোনা টিকা কোভ্যাক্সিন নিয়েছে তাদের মধ্যে মাত্র ০.৫ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই নাকি এই টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গিয়েছে।
প্রথমবার করোনার ডেল্টা প্রজাতির হদিশ পাওয়া গিয়েছিল ভারতে। যা বি.১.৬১৭.২ নামেও পরিচিত। আর ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউইয়ের এমন বাড়বাড়ন্ত হওয়ার পেছনেই ছিল এই প্রজাতি। ভারতে দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা ক্রমশঃ স্তিমিত, আর নিজের রূপও বদলিয়েছে করোনার ডেল্টা প্রজাতি। এই প্রজাতির একটি নতুন রূপের হদিশ পেয়েছিলেন কিছুদিন আগেই বিজ্ঞানীরা। সেই রূপের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডেল্টা প্লাস’ বা ‘এওয়াই.১’।
ভারত করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) তৃতীয় ঢেউ কে ঠেকাতে পারবে না। তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। মূলত এই তৃতীয় ঢেউ আসছে করোনার ‘ডেল্টা প্লাস’ ভ্যারিয়েন্টের (Delta Plus Variant) হাত ধরে৷ চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এই করোনা থার্ড ওয়ভের (Corona Third Wave) প্রকোপ থাকবে বলে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আবারও নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ১৩৪ জন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪২২ জনের। আর এক্ষেত্রে করোনা টিকার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
৩রা আগস্টের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এর মধ্যেই ভারতে ৪৭ কোটি ২২ লক্ষ ২৩ হাজার ৬৩৯ জনের করোনা টিকা (Corona Vaccine) হয়ে গিয়েছে। কোভ্যাক্সিনের পাশাপাশি ভারতে কোভিশিল্ড (Covishield), স্পুটনিক-ভির (Sputnik V) মতো করোনা টিকাকেও অনুমোদন দেওয়া রয়েছে। তবে ভারতে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন টিকাই বেশী দেওয়া হচ্ছে এখনও পর্যন্ত। এবার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল অ্যান্ড রিসার্চের সাম্প্রতিক গবেষণাপত্রের উঠে আসা তথ্য যদি আরও জোরালো হয় তাহলে আগামী দিনে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।