গুজরাটের সুরাটে, অপরাধ দমনের শাখা এমন দুই চোরকে গ্রেফতার করেছে যারা চুরির টাকা দিয়ে গরীবদের সাহায্য করতেন। ‘রবিনহুড’ নামে পরিচিত এই ভিআইপি চোরদের গল্প খুবই মজার।
গুজরাট সহ দেশের অনেক শহরে চুরির ঘটনা ঘটানো একজন অভিযুক্তের স্ত্রী বিহারের একজন নেতা এবং ওই ব্যক্তি নিজেও তার স্ত্রীর সাথে রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেন। রাজনীতি ও অপরাধ জগতের সঙ্গে জড়িত এই কথিত রবিনহুড অনেক চেষ্টার পর সুরাট পুলিশের হাতে পাকড়াও হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত দুই চোরের একজনের নাম মোহাম্মদ ইরফান ওরফে উজালে আক্তার শেখ অপরজনের নাম মুজাম্মিল গোলাম রসূল শেখ। মোহাম্মদ ইরফান ওরফে উজালে আক্তার শেখ বিহারের সীতামারহি জেলার বাসিন্দা। যদিও তার সঙ্গীও সীতামারহি জেলার পোখেরা গ্রামের বাসিন্দা। যদিও বর্তমানে থাকেন হায়দ্রাবাদে।
মোহাম্মদ ইরফান ওরফে উজালে মোহাম্মদ আখতার শেখ বছরের পর বছর ধরে চুরির ব্যবসায় পারদর্শী। সে বিহার, দিল্লি, পাঞ্জাব এবং গুজরাটের সুরাট শহরে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। গত ২৭ জুলাই রাতে সুরাট শহরের উমরা থানা এলাকার রঘুবীর সোসাইটির একটি বাংলোয় ঢুকে ৬ লাখ ৬১ হাজার টাকা চুরি করে পালিয়ে যায়।
গাড়িটির নম্বরটি সুরাটের নয়, তাই তাকে ধরতে পুলিশের অসুবিধা হচ্ছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুরাত পুলিশ তাকে লিম্বায়াত থানা এলাকার মিঠিখাদি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ এই দুই অভিযুক্তের কাছ থেকে চোরাই মাল ও একটি লোড করা ভারতীয় পিস্তল, দুটি কার্তুজও উদ্ধার করেছে। এর পাশাপাশি সুরাটের ওমরা এলাকায় চুরির ঘটনার সমাধান করেছে সুরাট ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
জানা যায় প্রায় ৫ বছর আগেও দিল্লি পুলিশ তাকে চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তারও করেছিল, তারপরও তিনি রবিনহুডের নামে শিরোনামে এসেছিলেন।
সুরাট ক্রাইম ব্রাঞ্চের সিনিয়র পুলিশ ইন্সপেক্টর ললাত বাগদিয়া জানিয়েছেন যে মহম্মদ ইরফান স্বীকার করেছেন যে তিনি চুরি করার জন্য একটি বিলাসবহুল গাড়িতে চড়তেন এবং চুরি করা অর্থ গরীবদের জন্য ব্যয় করতেন।
তবে পুলিশ এই মুহূর্তে তার গল্প বিশ্বাস করছে না। গ্রেফতারকৃত দুই আসামিই দিনের বেলা রেকিং করত এবং পরে গুগল ম্যাপের সাহায্যে রাতে লোকেশনে পৌঁছে চুরি করত। পুলিশ বা অন্য কেউ যেন তার কর্মকাণ্ডে সন্দেহ না করে, তাই গাড়িতে জেলা পরিষদ সদস্যের প্লেট লাগিয়ে রাখা হয়েছে। স্ত্রীর জয়ের পর সুরাটে বসবাসরত সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেও এসেছিলেন তিনি। এই কাহিনী শুনে হতবাক সকলেই।