অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে, লোকেরা অন্যান্য দিনের মতোই বাসে ভ্রমণ করছিলেন! যখন তারা একটি দম্পতিকে পিছনের সিটে বসে থাকতে দেখেন। ওই দুইজন বসে বসে রোমান্স করছিল। প্রথম দিকে কেউ তাদের দিকে নজর না দিলেও অল্প সময়ের মধ্যেই ওই যুগল নির্লজ্জতার সব সীমা অতিক্রম করে ফেলে। তাদের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে। একই সঙ্গে তাদের দুজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছে জনগণ।
থামানোর সাহস হয়নি
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন অনুসারে, মেলবোর্নের 902 চেলসি থেকে বিমানবন্দর পশ্চিম রুটে বাসগুলি রোজকার মতই যথারীতি চলছিল এবং কোনও উল্লেখযোগ্য ভিড় ছিল না। এ সময় এক দম্পতি বাসে উঠে পেছনের সিটে বসেন। কিছুক্ষণ পর সহযাত্রীরা দেখতে পান বাসেই দম্পতি শারীরিক সম্পর্ক করছেন। বিষয়টি দেখে সবার হুঁশ উড়ে গেল। প্রথম দিকে কেউ বাধা দিতে সাহস পায়নি।
আমাদের বাড়ি নেই
এরই মধ্যে কয়েকজন তার ভিডিও করতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পর যাত্রীরা রেগে গিয়ে চিৎকার করতে থাকে। এক ব্যক্তি বললো- শোন ভাই, বাসে আপনি একা যাত্রী নন, ভদ্র হোন। এ নিয়ে দম্পতিও জবাব দিতে থাকেন। পেছনের সিটে বসা পুরুষটি জোরে চিৎকার করে বলে আমার বাড়ি নাই, বাসে উঠেই সম্পর্ক করি তাই। এরপর জনগণের বিরোধিতা বাড়তে থাকে।
দম্পতি বাস থেকে নেমে যায়:
ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন বাসে বসা অন্য যাত্রীরা। একইসঙ্গে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে। অন্যান্য গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিষয়টি বাড়তে দেখে দম্পতি বাস থেকে নেমে অন্য কোথাও চলে যান। তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না তা জানা যায়নি।
দুই বছরের কারাদণ্ড
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ মানুষ। একজন ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন যে অস্ট্রেলিয়ায়, ইচ্ছাকৃত বা অশ্লীল কাজকর্মের জন্য দোষী ব্যক্তিকে দুই বছর পর্যন্ত শাস্তি দেওয়া যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে এই দম্পতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। অন্য একজন লিখেছেন যে ভিডিও করার পরিবর্তে, মানুষদের উচিৎ ছিল তাদের বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে নামতে বাধ্য করা।
যখন ফ্লাইটে এমনটা হয়েছিল
কয়েক মাস আগে আইরিস এয়ারলাইন্সে এমনই একটি ঘটনা সামনে এসেছিল, যেখানে সিটে বসা এক দম্পতির মধ্যে হঠাৎ সম্পর্ক শুরু হয়। প্রথমে কেউ সেদিকে নজর না দিলেও পাশে বসা যাত্রী তাদের দেখে অবাক হয়ে যান। লোকেরা মনে করেছিল যে দম্পতি চুম্বন করে থামবে, কিন্তু তারা সিটেই শারীরিক সম্পর্ক করে। পরে ক্রু সদস্যরা সেখানে পৌঁছে তাদের বাধা দেন। এরপর ঘণ্টাখানেক তারা চুপচাপ বসে ছিলেন।