আইআইটি কানপুরের কিছু গবেষক সাম্প্রতিক গবেষণা প্রতিবেদনের মাধ্যমে জুনে করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের পূর্বাভাস দিয়েছেন। করোনা নিয়ে এই ভবিষ্যৎ বাণীর মাঝে, এখন মহারাষ্ট্র কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্যরাও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে গ্রীষ্মে আর্দ্রতা বৃদ্ধির কারণে ভাইরাসটি বৃদ্ধি পাবে। এর সাথে, সংক্রমণ এড়ানোর একমাত্র উপায় হল কঠোরভাবে মাস্ক পড়া, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এবং কোভিড প্রোটোকল অনুসরণ করা। করোনা মহামারীর শুরু থেকে মহারাষ্ট্র এর মুম্বাই এবং বাকি কিছু জায়গা বারবার প্রথম দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ঢেউয়ের সময় অতি সংক্রমণের শিকার হয়েছে। তাই কোভিড টাস্কফোর্সের সদস্যরা আগে থেকেই বোম্বে মিউনিসিপ্যালিটি কর্পোরেশন বা বিএমসি কে করোনা পরীক্ষা, কেস ট্র্যাকিং এবং টিকা দেওয়ার উপর জোর দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত বর্তমানে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের গতি কমে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে বিজ্ঞানীরা এখন চতুর্থ ঢেউ কবে আসতে পারে এই নিয়ে হিসেব-নিকেশ করছেন। আইআইটি কানপুরের বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন চতুর্থ তরঙ্গটি 22 জুনের কাছাকাছি আসবে এবং 24 অক্টোবর পর্যন্ত স্থায়ী হবে। মহারাষ্ট্রের কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্যরাও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে গ্রীষ্মে ভাইরাস আরও বাড়বে। টাস্ক ফোর্সের ডক্টর শশাঙ্ক জোশী এবং ডক্টর রাহুল পণ্ডিত এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ডক্টর শশাঙ্ক জোশীর মতে, পশ্চিমা দেশগুলিতে করোনা ঠান্ডা ঋতুতে বেশি বেড়েছে, সেখানে ভারতে গ্রীষ্ম ও বসন্ত ঋতুতে। প্রথম দুটি ঢেউয়ের ক্ষেত্রে একই প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। তিনি বলেন, গ্রীষ্মকালে আর্দ্রতা বেশি থাকে এবং আর্দ্রতা বাড়লে ভারতবর্ষে ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করা গেছে। টাস্ক ফোর্সের আরেক সদস্য ডক্টর রাহুল পণ্ডিতও প্রায় একই কথা জানিয়েছেন। ডক্টর পন্ডিত জানান, করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় করোনা শুধুমাত্র গ্রীষ্মের সময়ে সর্বোচ্চ চূড়ায় থাকে। তবে তিনি কানপুর আইআইটির চতুর্থ ঢেউয়ের আঘাত হানার তারিখ সংক্রান্ত ভবিষ্যদ্বাণীকে নিছক অনুমান বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট গবেষণা নেই। এই মুহূর্তে, নতুন ভেরিয়েন্ট আসতে চলেছে কিনা সেই সম্পর্কে কিছু বলা খুব তাড়াতাড়ি।
মাস্ক, করোনা টেস্ট , ট্র্যাকিং এবং টিকা দেওয়ার উপর জোর দেওয়া দরকার:
ডাঃ রাহুল পন্ডিত বলেছেন যে বিএমসি প্রথম ঢেউ থেকেই করোনা রোগীদের সংস্পর্শে আসা লোকদের ট্র্যাক করছে। এই বিষয়ে এখনও জোর দেওয়া উচিত. এখন যে সমস্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছে, তাদের সংস্পর্শে আসা সমস্ত লোককে ট্র্যাক করা উচিত, যাতে ভাইরাসের চেইন ভেঙে ফেলা যায়। তিনি বলেন, টেস্টিং ও ভ্যাকসিনেশনের ওপর জোর দিতে হবে। এর দ্বারা চতুর্থ ঢেউ কে আমরা প্রতিহত করতে পারি।