মনে হচ্ছে যেন এক অদ্ভুত সিদ্ধান্ত যা বিশ্বাস করা যায় না কোনও মতেই। পর্ন ভিডিও দেখতে পারবে ছাত্ররা কলেজে বসে? শুধু তাই নয় পর্ন ভিডিও দেখা যাবে শিক্ষকের সাথে বসেও? শুনে অবাক লাগছে কিন্তু হ্যাঁ এটা একেবারেই বাস্তব। এক নতুন কোর্স এড করা হচ্ছে হার্ডকোর পর্ণের উপর, কলেজ পড়ুয়াদের জন্য। কোর্স চলা অবস্থাতেই , লেকচারারদের সঙ্গে বসেই শিক্ষার্থীরা পর্ন সিনেমা দেখতে পারবেন।
আমেরিকার উটা শহরের ওয়েস্টমিনস্টার কলেজ পঠনপাঠনের এই কোর্স চালু করছে। এই কোর্সটির ‘ফিল্ম ৩০০০’ নাম দেওয়া হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ এই কথা ভেবে শুরু করেছে যে, তাঁরা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তদন্তের কাজে নিজেদের নিয়োজিত করবেন কি না এই বিতর্কিত বিষয়টি নিয়ে, তাঁদের সেই সিদ্ধন্ত নিতে এই পঠনপাঠনই সাহায্য করবে। কলেজের মত অনুযায়ী , কিছু ইলেকটিভ কোর্স অফার করা হয় এবং “সামাজিক সমস্যা বিশ্লেষণ করার একটি সুযোগ করে দেবে শিক্ষার্থীদের” পর্নোগ্রাফির কোর্সটির মাধ্যমে। যে বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়েছে কলেজ কতৃপক্ষের থেকে তাতে এটাই বলা হয়েছে, ‘যে পর্নোগ্রাফি কিন্তু রবিবার রাতের ফুটবল ম্যাচের তুলনায় অনেক বেশি জনপ্রিয়। এই কয়েক কোটি ডলারের শিল্পের যে একটা সাংস্কৃতিক পরিচয় আছে সেটাকে তুলে ধরাই আমাদের লক্ষ্য।’
মার্কিন সংবাদ চ্যানেল ফক্স নিউজ এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ওই কলেজের একজন মুখপাত্রের সঙ্গে কথা বলে। কোর্সটি পড়ানোর বিষয়টি তিনি জানিয়েছেন এবং সাথে আরও বলেন যে কলেজ মাঝে মাঝে এই ধরনের বিকল্প কোর্স অফার করে সামাজিক সমস্যা বিশ্লেষণের সুযোগ হিসাবে। কিছু পাঠকের জন্য এই কোর্সের বর্ণনা উদ্বেগজনক হলেও এটা ছাত্রদের সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে যে বিতর্কিত বিষয়গুলির সাথে তারা যুক্ত হতে চায় কি না। এক পড়ুয়াকে দুই ক্রেডিট স্কোর দেওয়া হবে এই কোর্সের জন্য। কলেজ কর্তৃপক্ষ আরও জানায় যে এই কোর্সটি কলেজে আগেও পড়ানো হয়েছে। এটা বিগত দুই বছর করোনা অতিমারীর সময় থেকে বন্ধ ছিল।
এই পঠন পাঠন ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হবে বলে জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ:
অনেকে নানা রকম মত পোষণ করছেন কলেজ কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের পর। কলেজ কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে অনেকে মন্তব্য করেছেন যে , অত্যন্ত বিরক্তিকর এই সিদ্ধান্ত। এমন সিদ্ধান্ত কী ভাবে নিল কলেজ? আবার অনেকে কলেজের এই সিদ্ধান্তকে খুব একটা খারাপ চোখেও দেখছেন না।