বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা চাকরি। বর্তমান সময়ে করোনা মহামারীর পর এমনিই সারা বিশ্বে চাকরি পাওয়া ঘিরে সংকট গুরুতর হয়ে উঠছে। মানুষ বিপর্যস্ত এবং চাকরির জন্য মরিয়া হয়ে উঠছে। চাকরি পাওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে সকল চাকরী পার্থী। কেউ তাদের কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠা দিয়ে চাকরি খুঁজছেন, আবার অনেকে ঘুষের মাধ্যমে। আর চাকরির তাগিদে প্রতিদিনই মানুষ নানা প্রতারণার শিকার হচ্ছে। পরে প্রতারিত হয়ে অনুতপ্ত হয়।
অতি সম্প্রতি, এক চীনা ব্যক্তির সাথে একই ঘটনা ঘটেছে। তাঁকে এমন প্রতারণার শিকার হতে হয়েছে যা খুবই ভয়ঙ্কর। জানা গেছে চাকরীর নামে ডেকে তাকে রীতিমত রক্ত দাস বানিয়ে রাখা হয়েছিল (Chinese Man Kidnapped and Kept in as a Blood Slave)। অর্থাৎ চাকরির নামে এই ব্যক্তিকে অপহরণ করে, পরে বেসরকারি হাসপাতালে তার রক্ত বিক্রি করা হয় দীর্ঘদিন ধরে। অতিরিক্ত রক্ত বেরিয়ে যাওয়ার কারণে ওই ব্যক্তির শরীরে নানা সমস্যাও দেখা দেয়।
মেট্রোতে (Metro) প্রকাশিত একটি খবর অনুযায়ী, এই ঘটনা ঘটেছে এক চীনা ব্যক্তির সঙ্গে। ভুয়ো চাকরির বিজ্ঞাপন (Fake job advertisment) দেখিয়ে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। এই ব্যক্তির নাম লি (Li)। তথ্য অনুযায়ী, লি বেইজিং ও শেনজেনে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করতেন। একদিন লি এক জায়গায় একটি চাকরির বিজ্ঞাপন দেখেন, তারপরে তিনি চাকরি পেতে যোগাযোগ করেন। তিনি বুঝতে পারেননি সেই চাকরির বিজ্ঞাপনটি ভুয়ো। চাকরি পাওয়ার আশায় তিনি উল্লেখিত স্থানে পৌঁছলে চীন-ভিয়েতনাম সীমান্তে তাকে অপহরণ করা হয়।
লি এর কোনো আপনজন নেই। সে অনাথ। অপহরণের পর, অপহরণকারীরা লি-এর রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করে, যা থেকে জানা যায় যে লি-এর রক্তের গ্রুপ ও-নেগেটিভ, যা খুবই বিরল। এ কারণে ওই অপহরণকারীরা লি’র রক্ত বিক্রি করতে শুরু করেন। প্রতি মাসে, লির শরীর থেকে 800 মিলি রক্ত বের করে বিক্রী করা শুরু করে তারা। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে লির স্বাস্থ্যের অবনতি হয়।
লির অবস্থা এতে ভীষণ খারাপ হয়ে যায়। কোনো মতে সে মুক্তি পায়। চিকিৎসার জন্য পৌঁছলে চিকিৎসকরা যখন লির শরীর দেখেন, তখন তারা দেখেন এত রক্ত বেরিয়ে যাওয়ার কারণে তার শরীরে অনেক জটিলতা দেখা গেছে। বর্তমানে এই বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।