শীতকালীন ওলিম্পিক গেমস চলাকালীন চিনে (China) আবারও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনা মহামারী। যতই কড়া বিধি নিষেধ বলবৎ করা হোক না কেন কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না কোভিড পরিস্থিতিকে। এমন পরিস্থিতিতে আবারও অতি সংক্রামক এই ভাইরাসের তাণ্ডব থামাতে প্রায় ৩৫ লক্ষ মানুষকে কার্যত গৃহবন্দি করল চীন প্রশাসন।
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে জানা গেছে, ভিয়েতনাম ও চিন সীমান্তে অবস্থিত দক্ষিণ গুয়াংসি প্রদেশের বাইসে নামের ওই শহরের বাসিন্দার সংখ্যা না হলেও ৩৫ লক্ষ। জিরো কোভিড নীতি নিয়ে চলা চিনে গত তিনদিনে সেখানে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৭০ জনেরও বেশি। তাই এই শহরে সম্পূর্ন লকডাউন ঘোষণা করল বেজিং। সোমবার অর্থাৎ আজ এই লকডাউন ঘোষণা করেছে চীন প্রশাসন। এই শহরের ডেপুটি মেয়র গু জুনয়ান জানান, শহরজুড়ে গাড়ী চলাচল ও মানুষের চলাফেরা কড়াভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এই শহরের ভেতরে বাইরে থেকে কোনও যানবাহন বা মানুষজন আসতে পারবে না। একইভাবে, এই শহর ছেড়ে কেউ বাইরে যেতে পারবেন না
বেজিং শহরে শীতকালীন অলিম্পিকের আসর বসেছে। সেই কারণে কড়া বিধি নিষেধ তো ছিলই, তাহলে তিনদিনে কী করে ৭০ জন কোভিড আক্রান্ত হলেন! পৃথিবীতে একমাত্র দেশ চিন যেখানে শূন্য-কোভিড নীতি মেনে চলা হয়। প্রশ্ন বিশেষজ্ঞদের! আসলে ভিয়েতনাম সীমান্ত থেকে ৬২ মাইল বা ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বাইস শহর। ভিয়েতনামে সম্প্রতি করোনার বাড়াবাড়ি দেখা দিয়েছে। ভিয়েতনাম, মায়ানমার ও আরো বাকি দেশ থেকে যারা এখন এই দেশে এসছে তাঁদের করোনা মহামারির কারণে দক্ষিণ সীমানায় জাল ঘিরে রাখা হয়েছে। এর মূল কারণ, করোনা সংক্রমণ কে ঠেকিয়ে রাখা যাবে। স্থানীয়দের করোনা টেস্ট করানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চিনের ইউহান শহর থেকেই পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল করোনা সংক্রমণ। এরপর অল্প সময়ের মধ্যেই মধ্যেই তা ছড়িয়ে পড়ে সারা পৃথিবীতে। শুরু হয় করোনা মহামারী।