চীনের বিজ্ঞানীরা সফলভাবে বিশ্বের প্রথম ক্লোন করা আর্কটিক নেকড়ে তৈরি করেছেন। প্রযুক্তির এই ব্যবহার প্রাণীর ক্লোনিং, বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির সংরক্ষণে একটি মাইলফলক হতে পারে। গ্লোবাল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেকড়েটির জন্মের ১০০ দিন পর সোমবার সংস্থাটি এই ঘোষণা করেছে। নেকড়েটির নাম দেওয়া হয়েছে মায়া।
আর্কটিক নেকড়ে সাদা নেকড়ে বা পোলার নেকড়ে নামেও পরিচিত। জৈবপ্রযুক্তিতে উদ্ভাবন করে, বেইজিং-ভিত্তিক ফার্ম সিনোজেন বায়োটেকনোলজি কোং চূড়ান্ত ফলাফল অর্জনে সফল হয়েছিল। প্রযুক্তির এই ব্যবহার প্রাণীর ক্লোনিং, বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির সংরক্ষণে একটি নতুন অবদান রাখতে পারে।
গ্লোবাল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেকড়েটির জন্মের ১০০ দিন পর সোমবার সংস্থাটি এই ঘোষণা করেছে। মায়া নামের নেকড়েটি, ১০ই জুন জন্মগ্রহণ করেছে, খুব ভাল স্বাস্থ্যে রয়েছে। সিনোজেন বায়োটেকনোলজি কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার মি জিডং বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে তিনি বিপন্ন প্রাণীকে বাঁচাতে ২০২০ সালে আর্কটিক নেকড়ে ক্লোনিং নিয়ে হারবিন পোলারল্যান্ডের সাথে গবেষণা শুরু করেছিলেন। দুই বছরের প্রচেষ্টার পর আর্কটিক নেকড়ে সফলভাবে ক্লোন করা হয়েছে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, গত বছরের আগস্টে মায়া নামের ১৬ বছর বয়সী একটি আর্কটিক নেকড়ে মারা গিয়েছিল। ক্লোন করা নেকড়েটির দাতা কোষ এই নেকড়ে থেকে নেওয়া হয়েছিল এবং এর ডিম নেওয়া হয়েছিল স্ত্রী কুকুর থেকে। গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মায়ার সারোগেট মা ছিলেন বিগল কুকুরের জাত। কুকুরটিকে একটি সারোগেট হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল কারণ এটি প্রাচীন নেকড়েদের সাথে জেনেটিক বংশধর শেয়ার করে এবং তাই ক্লোনিং সাফল্যের উচ্চ সম্ভাবনা ছিল।
এটি প্রথমবার নয় যে কোনও চীনা সংস্থা কোনও প্রাণীর ক্লোন করেছে। ২০১৯ সালে, এটি একই কৌশল ব্যবহার করে একটি বিড়াল ক্লোন করেছে। ১৯৯৬ সালে ক্লোন করা প্রথম প্রাণীটি ছিল ডলি ভেড়া। ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফুসফুসের সংক্রমণে সেটি মারা যায়।