রাজধানী দিল্লিতে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন করলেন এক যুবক। খুন করার পর মৃতদেহটি চাদরে মুড়িয়ে বাথরুমে লুকিয়ে রাখে ওই ব্যাক্তি। সকালে শিশুরা অনেকক্ষণ মাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে। কোথাও খুঁজে না পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এলে বাথরুমের ভেতর ওই নারীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহে অভিযুক্ত এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
তথ্য অনুযায়ী, উত্তর আউটার জেলার ভালসওয়া ডেইরি থানার অন্তর্গত মুকুন্দপুরে স্ত্রীকে খুন করে বাজারে ঘুরছিলেন এক ব্যক্তি। সকালে শিশুরা ঘুম থেকে উঠে তাদের মাকে দেখতে পায়নি। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও শিশুরা কোনো খোঁজ না পেলে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই মহিলার খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। এ সময় পুলিশ বাথরুমের দিকে তাকালে দেখে দরজা বন্ধ ছিল। সেটি খুলে দেখে পুলিশও অবাক হয়ে যায়।
মহিলার মৃতদেহ চাদরে মুড়িয়ে ওই বাথরুমে রাখা হয়েছিল। পুলিশ জানায়, ওই নারীর স্বামী তাকে হত্যা করে দেহটি বাথরুমে রেখে আসে। প্রাথমিক তদন্তে গোটা বিষয়টিকে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। আসলে, এটি ছিল মহিলার দ্বিতীয় বিয়ে। গত কয়েক মাস ধরে তিনি দুই সন্তানকে নিয়ে স্বামীর সাথে বসবাস করছিলেন। তার স্বামী সন্দেহ করেছিল যে তার স্ত্রী অন্য কারো সাথে মেলামেশা করছে। এ কারণে তিনি স্ত্রীকে হত্যা করেন। মহিলার স্বামীকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে।