হঠাৎই এক শিশুকে দেখা গেলো ট্রেনের কামরায়, সে একা একা বসে কাঁদছে। সন্দেহ হয় রেল সুরক্ষা কর্মীদের আর তৎপরতার সাথে তারা সেখানে যান। আর সে সময় এক অবাক করা তথ্য উঠে আসে। ওই একা কাঁদতে থাকা নাবালক উদ্ধার হয় আর পি এফ দের তৎপরতায়। চাইল্ড লাইনের হাতে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থানার রেল সুরক্ষা বাহিনীর কর্মীরা তাকে তুলে দেয়।
জানা গিয়েছে, আওয়াধ অসম এক্সপ্রেস শনিবার সকালে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে আসলে কর্তব্যরত রেল সুরক্ষা বাহিনীর কর্মীরা ট্রেনের কামড়ায় একা একটি শিশু কাঁদছে এমন দেখতে পান। অস্বাভাবিকতা লক্ষ করেন তারা শিশুটির চোখে মুখে। এরপরেই শিশুটিকে ট্রেন থেকে নামিয়ে নেয় কর্তব্যরত সুরক্ষা কর্মীরা। পরে শিশুটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তার বাড়ি অসমে জানায়। তথ্য জানবার পর আরপিএফ কর্মীরা চাইল্ড লাইন কর্মীদের হাতে নাবালক শিশুকে তুলে দেন।
তাঁকে এক ব্যাক্তি কলকাতায় নিয়ে গিয়ে রেঞ্জার সাইকেল কিনে দেবে বলে তার হাতে পাঁচশ টাকা দেয় বলে জানায় উদ্ধার হওয়া শিশুটি। এরপর ট্রেনে ওঠে তাঁকে নিয়ে। পরে ঘুমিয়ে পড়েন দু’জনেই। বাচ্চাটি ঘুম ভাঙার পর আর ওই ব্যক্তিকে দেখতে না পেয়ে ভয়ে কান্নাকাটি জুড়ে দেয়। আরও জানায় শিশুটি তার বাবা নেই। তার পিসে মশাইয়ের বাড়িতে থাকে সে। অন্য এক জায়গায় তার মা কাজ করে।
সুদীপ্ত গোস্বামী চাইল্ড লাইন সংস্থার পক্ষে জানান, ‘ আমরা ছুটে যাই জলপাইগুড়ি রোড রেল স্টেশনের রেল সুরক্ষা বাহিনীর কাছ থেকে খবর পেয়েই। প্রাথমিক কথা বার্তা বলে বুঝতে পারি উদ্ধার হওয়া শিশুটির সঙ্গে তার বাড়ি সামের কোনও এক জায়গায়। কোনও সমস্যা তাঁর বাড়িতে থাকায় সে অপরিচিত এক ব্যক্তি তাকে দামি সাইকেল কিনে দেওয়ার কথা বলে ট্রেনে ওঠায়। কিন্তু সে ঘুমিয়ে পরে মাঝপথে, ঘুম ভাঙলে দেখে সেই ব্যক্তি নেই। এরপর কাঁদতে থাকে ফ্যাসাদে পড়ে। আমরা আপাতত চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে বাচ্চাটিকে নিয়ে তুলে দেব। পরবর্তী সিদ্ধান্ত তারাই নেবেন।’
চাইল্ড লাইন সুত্রে পাওয়া শেষ খবরে জানা গিয়েছে, বাড়ির লোকের ফোন নম্বর পাওয়া গিয়েছে শিশুটির কাছ থেকে। যোগাযোগ করা হয়েছে বাড়িতে। বাড়ির লোক আসবে।