দুর্ভাগ্যবশত পরকীয়া সম্পর্কের সাক্ষী থাকায় মর্মান্তিক পরিণতি হল মাত্র বছর সাতের শিশুর। ভয়ঙ্কর এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলায়। শুধুমাত্র নিজের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক সন্তানের সামনে ফাঁস হয়ে যাওয়ায় কোন মা যে এইভাবে শেষ করতে পারে নিজের একরত্তি সন্তানকে ভাবলেও গা শিউরে ওঠে। জানা গেছে দিন তিনেক খোঁজ মিলছিলো না ওই সাত বছরের শিশুর। তাই বাড়ির সদস্যরা প্রচুর খোঁজাখুঁজি করে না পাওয়ায় পৌঁছয় পুলিশের কাছে। শিশুটির নামে মিসিং ডায়েরি করে থানায়। তারপর পুলিশ নামে খুঁজতে। অনেক খোঁজাখুঁজি করে শেষ পর্যন্ত ওখানকার এক ইটভাটার সামনে এক ঝোপের আড়ালে মেলে শিশুর ক্ষত-বিক্ষত রক্ত মাখা দেহ। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির কামারতোর গ্রামে।
এরপরেই পরিবার জানায় শিশুটি মায়ের সাথে এক ব্যক্তির পরকীয়া সম্পর্ক দেখে ফেলেছিল নিজের চোখে সেই কারণেই এই পরিণাম।
তাহলে কি পরিবারের সদস্যদের অভিযোগই সত্যি? মায়ের পরকীয়ার সম্পর্কের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ানোয় প্রাণ হারাতে হল সাত বছরের শিশুকে? যদি তাই হয় কে ঘটাল এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড? শিশুটির মা নাকি তার প্রেমিক নাকি দু’জনে মিলেই? এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আসছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
মৃত শিশুটির নাম গোলাম সরোবর। দিন তিনেক আগে দাদুর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে হারিয়ে যায় সে। এরপরই পুলিশের কাছে খবর পৌঁছয়।
পুলিশ তদন্তে নেমে মহম্মদ মেকাইল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তাকে জেরা করতেই পুলিশ জানতে পারে চাঞ্চল্যকর সত্য। তারপর শুক্রবার রাতে শিশুটির মৃতদেহ খুঁজে পায় পুলিশ। দেহের একাধিক স্থানে ক্ষতচিহ্ন মিলেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান শিশুটিকে কোন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হতে পারে। সাথে সাথে তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেও ইটভাটার কাছে কবরস্থানের ঝোপে ফেলে দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কোন জন্তু খুবলে খেয়েও ক্ষতস্থান সৃষ্টি করতে পারে বলে অনুমান।
এরপর শিশুটির মা সেলি খাতুনকেও শুক্রবার রাতেই আটক করে পুলিশ। শিশুটির পরিবারের অভিযোগ শিশুটির মায়ের সঙ্গে মেকাইলের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। বাচ্চাটি সেই ব্যাক্তিকে পাড়ার কাকু হিসাবে চিনতো। আর ছেলের চোখে সেটা কোনো ভাবে পরে যাওয়াতেই তাকে রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলতেই মা ও তার প্রেমিক খুন করেছে বলে মনে করছে তারা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তাদের কে ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।