বাড়ির বাইরে খেলছিল ৬ বছরের ছোট্ট শিশুটি। কিন্তু হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায় সে। কেউ বা কারা তাকে অপহরণ করে। কিন্তু বেশিক্ষণ না পরদিন আবার বাড়িতেও ফিরিয়ে দেয়া থাকে এক ব্যক্তি। বাচ্চা মেয়েটিকে ফিরে পেয়ে বাড়ির সবাই নিশ্চিন্ত হয়। কিন্তু কিছুক্ষন পর থেকেই বাচ্চা মেয়েটির শরীর খারাপ হতে থাকে। বাড়ির লোক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। তারপরই এমন কিছু শোনে যে তারা বাক্যহারা হয়ে যায়। মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেছে বাচ্চা মেয়েটির সাথে।
দিল্লির শাহবাদ ডেইরি এলাকায় ৬ বছরের এক ছোট্ট শিশুর সঙ্গে নিষ্ঠুরতার চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। পুলিশ এই ঘটনায় অপহরণ, ধর্ষণ এবং পকসো ধারায় মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করেছে। ধর্ষণের পর নির্যাতিতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় যেখানে তার অস্ত্রোপচার করা হয়। বর্তমানে মেয়েটির অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে।
শাহবাদ ডেইরি এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকেন ৬ বছরের এই বাচ্চা মেয়ে। সে একটি বেসরকারি স্কুলের ১ম শ্রেণির ছাত্রী। শিশুটির বাবা একটি কোম্পানিতে ক্যাব চালক।
প্রথমে অপহরণ, তারপর নিজেও বাড়িতে নিয়ে আসেন:
তথ্যমতে, গত ১০ মার্চ রাতে মেয়েটি বাড়ির বাইরে খেলার সময় নিখোঁজ হয়। ১১ মার্চ সকালে এক ব্যক্তি মেয়েটিকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। ১১ মার্চ সন্ধ্যায় মেয়েটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসকরা মেয়েটির সঙ্গে ধর্ষণের ঘটনা পরিবারকে জানান। চিকিৎসকদের কথা শুনে হতবাক পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় তারপর থানায় খবর দিলে মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে এবং মেয়েটিকে অন্য হাসপাতালে ভর্তি করে, যেখানে তার অস্ত্রোপচার করা হয়।
অপারেশনের পর মেয়েটির অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। তবে শিশুটিকে কবে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে সে বিষয়ে কোনো ধারণা নেই। বর্তমানে পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে আসামিদের খোঁজ করছে। পুলিশের সন্দেহ, বাড়ির বাইরে থেকে একটি শিশুকে অপহরণ করা, তারপর তাকে বাড়িতে রেখে যাওয়া একটি সুপরিকল্পিত কাজ। পুলিশ সেই ব্যক্তিকেও খুঁজছে যে ১১ই মার্চ মেয়েটিকে বাড়িতে রেখে গিয়েছিল।