অবোধ শিশু। ভেবেছিল সামনে রাখা আছে ফলের রস। আদপে তা তার দাদুর রেখে যাওয়া পানীয়। ফল হলো মারাত্মক। মদ গলায় ঢালতেই তা গলায় আটকে মৃত্যু হল পাঁচ বছরের শিশুর। চোখের সামনে নাতিকে ছট ফট করতে করতে নেতিয়ে পড়তে দেখে দাদুও সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। তাকেও তারপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে প্রাণহীন বলে ঘোষণা করে। সেখানেই তাঁরও মৃত্যু হয়। মর্মান্তিক এই ঘটনার সাক্ষী রইল ভেল্লোরের আন্নানগর।
পুলিশ সূত্রে খবর, আন্না নগরের কান্নিকোলি স্ট্রিটের বসবাসকারী ৬২ বছর বয়সী চিন্নাস্বামী নিজের বাড়িতে বসে ব্র্যান্ডি খাচ্ছিলেন। বোতলে তখনও বেশ কিছুটা ব্র্যান্ডি রয়ে গিয়েছিল, সেই অবস্থাতেই ওই ব্রান্ডির বোতল রেখে তিনি অন্য কোথাও গিয়েছিলেন সামান্য সময়ের জন্য। এর ফাঁকেই চিন্নাস্বামীর নাতি মাত্র পাঁচ বছরের রাকেশ দেখতে পায় বোতল। তার আন্দাজ হয় হয়ত এটা ফলের রস। সে বোতলে বাকি থাকা ব্র্যান্ডি খেয়ে ফেলেন। সেটা পান করার সময় গলায় আটকে যায় রাকেশের। সাথে সাথেই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। নিজের প্রিয় নাতিকে এই ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখে নিজেকে সামলে রাখতে পারেননি চিন্নাস্বামী। তিনিও ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন। দুজনকেই বাড়ির লোক প্রথমে কাছের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের লোকজনেরা। সেখানেই চিন্নাস্বামী মারা যায়। এরপর তার নাতি রাকেশকে খ্রিষ্টান মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু শিশুটিকে আর অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা সম্ভব হয়নি। তার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
দাদু এবং নাতির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য ভেল্লোরের মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত এ নেমেছে পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে অন্য কোন যোগসূত্র বা কারণ জড়িয়ে রয়েছে কিনা, তা খোঁজ করে দেখা হচ্ছে। একই পরিবারের দাদু ও নাতির এই ভাবে হঠাৎ মৃত্যুতে পরিবারে ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।ছায়া নেমে এসেছে।