দিল্লি পুলিশের শাহদারা জেলার অন্তর্গত গীতা কলোনিতে একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। খেলাধুলা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে একটি শিশু রোদ এড়াতে কাছেই পার্ক করে রাখা একটি ট্রাকের নিচে এসে শুয়ে পড়ে এবং সেখানেই তার বিশ্রাম চির নিদ্রায় পরিণত হয়। শিশুটি ট্রাকের নিচে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর ট্রাক চালক ট্রাক স্টার্ট দেয় যাওয়ার জন্য। তিনি খেয়াল করেননি কখন শিশুটি এসে ট্রাকের নিচে ঘুমিয়ে পড়েছে। নৃশংস ভাবে শিশুটির মাথা ট্রাকের চাকার নিচে থেঁতলে যায়। এই দৃশ্য দেখে ভয় পেয়ে চালক ঘটনাস্থল থেকে ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায়।
সূত্র অনুযায়ী, মৃত কিশোরের নাম রবি সাহনি (বয়স ১৩)। কিশোরীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ট্রাক চালকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। বাবা কমলেশ্রী সাহনি ও ভাই রাজার সঙ্গে সফেদা বস্তিতে থাকত শিশুটি। তারা প্রায় এক বছর আগে কানের চিকিৎসা করাতে বিহার থেকে দিল্লিতে আসেন। তিনি মূলত বিহারের বেগুসরাই জেলার নারায়ণ পিপার গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
নিহতের বাবা কমলেশ্রী সাহনি ঘটনার বিষয়ে বলতে গিয়ে জানান, রবিবার কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল রবি। এরপর তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করা হয়। কিন্তু রবিকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিন্তু সোমবার সকাল ৫টা নাগাদ কমলেশ্রী যখন টয়লেট করতে বেরিয়েছিলেন, তিনি দেখেন যে রাধাস্বামী সৎসঙ্গ পার্কের কাছে কিছু ভিড় জড়ো হয়েছে। সেখানে যাওয়ার পর দেখেন তার ছেলে রবি গুরুতর আহত অবস্থায় আছে সেখানে। তার মাথা ফেটে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রবিকে স্বামী দয়ানন্দ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কিছুক্ষণ আগে ঘটনাস্থলের কাছে টহলরত পুলিশ সদস্যরা জানান, ঘটনার কিছুক্ষণ আগে এখানে একটি ট্রাক দাঁড় করানো ছিল। প্রতিবেশীরা জানান, ওই কিশোর ট্রাকের নিচে ঘুমিয়ে ছিল। ট্রাকের চাপায় কিশোর রবির মৃত্যু হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এদিকে দুর্ঘটনার পর চালক পালিয়ে গেছে। এ ঘটনার পর সফেদা বস্তির লোকজন পলাতক ট্রাক চালককে গ্রেফতারের দাবিতে সড়কে তোলপাড় সৃষ্টি করে। পুলিশের আশ্বাসে সবকিছু শান্ত হয়।