রাকেশ ও দক্ষিণা। করোনাভাইরাস সংক্রান্ত প্রোটোকল মানতে নারাজ ছিলেন এই দম্পতি। তাই ১৬১ জন অথিতি অভ্যাগত সমেত মাদুরাই থেকে বেঙ্গালুরুগামী বেসরকারি এয়ারলাইন্স স্পাইসজেট’এর একটি বিমান কেই ভাড়া করে নিয়েছিলেন তারা। ২ ঘণ্টার জন্য। বিমানটি যখন মাঝ আকাশে, চেন্নাইয়ের মাদুরাইয়ের মীনাক্ষী মন্দিরের ঠিক উপরে, তখনই দক্ষিণাকে মঙ্গলসূত্র পরান রাকেশ।
স্পাইসজেট’এর এয়ারলাইন্স- এ মাঝ আকাশে বিয়ের ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে। এবং সেই ভিডিও টি ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কেনোনা ভিডিও টি তে দেখা গেছে বিমানের উপস্থিত কোনো যাত্রীই সামাজিক দুরত্ব মানেনি। মানেন নি কোনো কোভিড বিধিও। বিমানটিতে নব দম্পতি ও তাদের সাথের অতিথিরা পরস্পরের গা ঘেষে দাড়িয়ে আছেন। আর এখানেই উঠেছে প্রশ্ন। যে কোভিড সংক্রমন চলাকালীন এমন কাজ কতোটা যুক্তিযোত।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সারা ভারতের মতো তামিলনাড়ু তেও আঘাত হেনেছে। দিন প্রতিদিন সংক্রমনে রাজ্য জুড়ে বিধি নিষেধ জারি হয়েছে সেই রাজ্যেও। সংক্রমনে রাশ পেতে ভারতের তামিল নাড়ু রাজ্যে বিয়েতে ৫০ জনের বেশি অতিথির উপস্থিতির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে রাজ্য প্রশাসন। তাই রাজ্যের নিষেধাজ্ঞা এড়াতে এই দম্পতি বিমানে মাঝ আকাশে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ভারতের এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ DGCA এই ঘটনাটি তদন্ত শুরু করেছে।
বিমান সংস্থা স্পাইস জেট এবং মাদুরাই বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পুরো ঘটনার রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। পাশাপাশি স্পাইস জেটকেও কোভিড বিধি যারা উলঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে স্পাইসজেট এর পক্ষ থেকে এই বিমান ভাড়া নেওয়ার কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সাথে সাথেই সংস্থার পক্ষ থেকে এও জানান হয়েছে যে এদের প্রত্যেককেই কোভিড বিধি সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল। কোভিড মেনে চলতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মৌখিক এবং লিখিত দুই বিবৃতিই দেওয়া দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা কোনও কথা শুনতে রাজি ছিলেন না। বরংবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও সেই যাত্রীরা কোভিড নিয়মগুলি মানেননি। আর সেই এই দম্পতির পরিবার এবং অথিতিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাতে পারে।