পাবলিক প্রভিডেন্ট স্কিমের (পিপিএফ) আওতায় কোনও ব্যক্তি একটি মাত্র অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। কোনও ব্যক্তি যদি একের বেশি পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলে থাকেন, তাহলে তাঁর দ্বিতীয় এবং পরবর্তী অ্যাকাউন্টগুলিকে ‘অনিয়মিত’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। তবে পিপিএফ গ্রাহকদের অনুরোধের ভিত্তিতে কয়েকটি ছাড় দেওয়া হয়েছে।
একের বেশি সেই ‘অনিয়মিত’ অ্যাকাউন্টকে একটি পিপিএফ অ্যাকাউন্টের সঙ্গেই যুক্ত করে দেওয়ার নিয়ম প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। কীভাবে অ্যাকাউন্ট মিশিয়ে দেওয়া যাবে, তা জানানো হল। একনজরে দেখে নিন সেই নিয়ম –
নির্ধারিত সীমা মেনে যদি দুটি পিপিএফ অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা দেওয়া হয়, তাহলে কোন অ্যাকাউন্ট চালিয়ে যাবেন, তা বেছে বিকল্প পাবেন গ্রাহক। যদি একই সংস্থায় (অপারেটিং এজেন্সি) দুটি পিপিএফ অ্যাকাউন্ট থাকে, তাহলে পিপিএফ অ্যাকাউন্টের ট্রান্সফারের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দুটি অ্যাকাউন্ট মিশিয়ে দেওয়া হবে। সঙ্গে দিতে হবে অ্যাকাউন্টের পাসবুক বা স্টেটমেন্ট।
কিন্তু দুটি সংস্থার খোলা পিপিএফ অ্যাকাউন্ট মিশিয়ে দিতে হয়, তাহলে দুটি সংস্থার মধ্যে যোগাযোগের প্রয়োজন আছে। সেক্ষেত্রে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট মিশিয়ে দেওয়ার জন্য পোস্ট অফিস বা ব্যাঙ্কে (যেখানে অ্যাকাউন্ট রেখে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন) করছেন, সেখানে গ্রাহককে অ্যাকাউন্ট মিশিয়ে দেওয়ার আবেদন জমা দিতে হবে।
তারপর সেই বিষয়টি অন্য সংস্থায় পাঠাবে অফিস বা ব্যাঙ্কের (যেখানে অ্যাকাউন্ট রেখে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন) অ্যাকাউন্টস অফিস। সব অর্থবর্ষের তথ্য পাঠানো বা যাচাইয়ের অনুরোধ করবে। নির্দিষ্ট অন্তর কেন্দ্র নির্ধারিত সর্বোচ্চসীমার ভিত্তিতে পিপিএফ অ্যাকাউন্টগুলিতে কত টাকা জমা দেওয়া হবে, তা খতিয়ে দেখবে অ্যাকাউন্টস অফিস। যদি কোনও অর্থবর্ষে টাকা জমা দেওয়ার সর্বোচ্চসীমা পার না হয়ে যায়, তাহলে ওই অ্যাকাউন্টস অফিস থেকে অপর অ্যাকাউন্টস অফিসের কাছে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার আবেদন করবে। পিপিএফ স্কিমের নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে সেই বন্ধ হয়ে যাওয়া অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ ট্রান্সফার করা হবে সেই অ্যাকাউন্টে, যে অ্যাকাউন্ট চালু রাখা হবে। সেই টাকা ট্রান্সফারের সময় অ্যাকাউন্টস অফিসের তরফে সুদ বাবদ প্রাপ্ত হিসাব দেওয়া হবে।
যে অ্যাকাউন্টটি চালু রাখা হয়েছে, সেটি যেদিন খোলা হয়েছে, সেটাই ওই অ্যাকাউন্টের খোলার দিন বিবেচনা করা হবে। ম্যাচিউরিটি এবং অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রে সেই দিনই বিবেচনা করা হবে।