ভারতে আস্তে আস্তে প্রভাব বিস্তার করছে ওমিক্রন। বাড়ছে কোভিডের ওমিক্রন স্ট্রেনে (omicron strain) আক্রান্তের সংখ্যা। মহারাষ্ট্রে দুজন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে যাদের জিনোম সিকোয়েন্স বিচার করে দেখা গেছে তারা এই নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনে আক্রান্ত। গুজরাতের (Gujrat) সুরাতেও দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরত এক ব্যক্তির শরীরে মিলেছে ওমিক্রন। এই নিয়ে ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪১।
তবে এই নিয়ে ক্রমশই চিন্তার মেঘ ঘনাচ্ছে চিকিৎসক মহলে। রোজই দেশের কোন না কোন প্রান্ত থেকে আসছে ওমিক্রন আক্রান্তের খবর। ফলে আগামীতে কী দিন আসতে চলেছে তাই নিয়ে চিন্তিত সকলে। NITI আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ডক্টর ভি কে পল একটি সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব অনেকটাই স্তিমিত। কিন্তু করোনা সংক্রমণ একটু বাগে আসতেই যেভাবে মানুষের মধ্যে পাবলিক প্লেসে মাস্ক পরার অনীহা দেখা দিচ্ছে সেখানে ফের করোনা মহামারী মাথা চারা দিতে পারে ভারত। এমনটাই আশঙ্কা।
ইতিমধ্যেই, বেশ কয়েকটি রাজ্য থেকে একের পর এক আসছে ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান। সেই সব তালিকায় রয়েছে, চণ্ডীগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, কেরল।
অবশ্য পশ্চিমবঙ্গে ওমিক্রন নিয়ে আপাতত স্বস্তির সন্ধান। চিকিৎসাধীন ব্রিটেন ফেরত মহিলার শরীরে উপস্থিত করোনা ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নয়, ডেল্টা প্লাস। সোমবার এই কথা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। বর্তমানে ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালে চিকিৎসা হচ্ছে আলিপুরের বাসিন্দা সেই মহিলা। অন্যদিকে, ওমিক্রন সন্দেহে বেলেঘাটা আইডি-তে অ্যাডমিটেড বাংলাদেশের ৭৪ বছর বয়সী ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে কল্যাণীতে।
কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় খোঁজ মেলা এই ওমিক্রন নিয়ে গবেষকদের একাংশ দাবি ছিল, এই ভ্যারিয়েন্টটি প্রচণ্ড সংক্রামক হলেও, ডেল্টার মতো প্রাণঘাতী নয়। কিন্তু, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইজরায়েলের পাশাপাশি ওমিক্রনের দাপটে হল খারাপ ব্রিটেনের। ব্রিটেনে করোনার নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, লন্ডনে মোট করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৪০ শতাংশের শরীরে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।