কিছুদিন আগেই খোঁজ মিলেছে করোনা ভাইরাসের অতি সংক্রামক প্রজাতি XE এর। এটি ওমিক্রনের একটি সাব-টাইপ বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে আবারো এই XE করোনাভাইরাসের প্রজাতির কারণে চীনে সংক্রমনের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। মহামারীর শুরুর পর এই প্রথম চিনে একত্রে এতগুলি নতুন সংক্রমনের ঘটনা ঘটছে। মহামারী শুরুর দুই বছর পর আবারও দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা সংক্রমণ। গত কয়েকদিন ধরে এখানে ক্রমাগত বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাংহাই, যাকে বলা হয় চীনের অর্থনৈতিক রাজধানী। এখানকার পরিস্থিতি ক্রমশ অনিয়ন্ত্রিত হয়ে উঠছে, এমনকি তা মোকাবেলায় চীন সরকার সাংহাইয়ে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে শোনা গিয়েছে। চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) জানিয়েছে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাংহাইতে ২ হাজারের বেশি মেডিকেল কর্মী পাঠানো হয়েছে।
এমতাবস্থায় সাংহাই প্রশাসন নির্দেশনা জারি বলেছে, যে প্রত্যেক শহরবাসীকে কঠোরভাবে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। শহরের প্রশাসনের দ্বারা জারি করা সমস্ত নির্দেশিকা পালন করতে হবে। করোনার আতঙ্কে স্বামী-স্ত্রীকে একে অপরের সাথে ঘুমাতে নিষেধ করেছে প্রশাসন। তাদের একে অপরকে চুম্বন করা থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা সাংহাইয়ের রাস্তায় ঘন ঘন জনসাধারণের উদ্দেশে ঘোষণা করছেন যে ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে দম্পতিদের আলাদা আলাদা ঘুমানো উচিত। তাদের চুম্বন করা, আলিঙ্গন করা বা একসাথে খাওয়া-দাওয়া করা একেবারেই উচিত নয়।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখা যাক যে চীনের সরকার এখানে দুটি ধাপে লকডাউনও করেছে, তবে এখনও রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, 2019 সালের শেষের দিকে করোনার প্রথম পর্যায়ে পাওয়া রোগীর পরে এই প্রথম সাংহাইয়ে দৈনিক কোভিড পজিটিভের সংখ্যা এত বাড়লো। চীনে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এখন কোনো উপসর্গ ছাড়াই করোনা সংক্রমনের ঘটনা সামনে আসছে, তবে যাদের কোনো উপসর্গ নেই তাদেরকেও কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হচ্ছে। তবে, সোশ্যাল মিডিয়ায়, চীনের লোকেরা উপসর্গহীন রোগীদের বাড়িতেই আইসোলেশন এর রাখার দাবি জানিয়েছে।