গুজরাটের আহমেদাবাদে (Gujrat, Ahmedabad) সাইবার অপরাধের একটি মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এসেছে। বুধবার সাইবার ক্রাইম বিভাগের (Cyber Crime Department) পুলিশের কাছে ৩৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তি একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন যে কিছু অ্যাপ থেকে টাকা ধার করার পর সময়ে তার কিছু অংশ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ার পরে সাইবার অপরাধীরা তার স্ত্রীর ছবি এডিট করে অশ্লীল বানিয়ে সেটি শেয়ার করেছে। এই খবরটি যারা বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ থেকে ঋণ নিচ্ছেন তাদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ন। ভুক্তভুগীর সাথে কি হয়েছিল। জেনে নিন পুরো বিষয়টা।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আহমেদাবাদের বেহরামপুরা এলাকায় বসবাসকারী এবং পোশাকের ব্যবসা করে এমন এক ব্যক্তি এই অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ব্যবসায়ীর এফআইআর অনুসারে, 28 ডিসেম্বর, 2021-এ, তিনি কোভিড -১৯ এর পরে আর্থিক সমস্যা মোকাবেলার জন্য বন্ধুর সুপারিশে একটি অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ পেয়েছিলেন। তিনি প্রাথমিকভাবে অ্যাপটি ডাউনলোড করেছিলেন এবং 6,000 টাকা ঋণ চেয়েছিলেন, যা তিনি সম্পূর্ণ রূপে পাননি। বিভিন্ন চার্জ কাটার পরে প্রায় 3,480 টাকা মতন পেয়েছিলেন। প্রায় এক সপ্তাহ পর তিনি ঋণের 6,000 টাকা ফেরত দেন।
তারপরে তিনি 14টি অনুরূপ আবেদন থেকে মোট 1.20 লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। যার কারণে জানুয়ারিতে তাকে মোট 2.36 লক্ষ টাকা ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছিল। তবে টাকা পরিশোধের পরও তিনি অন্যান্য লোন রিকভারি এজেন্টদের কাছ থেকে ফোন পেতে থাকেন। তিনি তার অভিযোগে জানান যে শুধু তিনিই এই ধরনের কলই পাননি, তার ফোনের কন্টাক্ট লিস্টে থাকা লোকজনও হুমকিমূলক কলও পেতে শুরু করে। অভিযোগকারী আরো বলেন, টাকা পরিশোধ করে দেওয়ার পরও সেই সব ফোনে বলা হয় যে এখনও পুরো টাকা শোধ হয়নি এবং তার কাছ থেকে আরও টাকা চাওয়া হয়।
অভিযোগকারী বলেন এরপরে দুর্বৃত্তরা সব সীমা অতিক্রম করে। তিনি জানান, সাইবার অপরাধীরা স্ত্রীর ছবি ব্যাবহার করে তাঁকে নোংরা ভাবে এডিট করে তার স্ত্রীর মিথ্যা অশ্লীল ছবি বানায়। সেই এডিট করা অশ্লীল ছবি সাইবার অপরাধীরা প্রথমে অভিযোগকারীকে, তারপর তার পরিচিতি তালিকায় থাকা তার পরিবারের সদস্যদের কাছে ইমেলের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল। সাইবার অপরাধীরা তাকে এবং তার পরিবারকে এইভাবে হয়রানি চালিয়ে যাওয়ার পরে অভিযোগকারী পুলিশের কাছে যান। পুলিশ এই অভিযোগ খতিয়ে দেখছে বলে জানা গিয়েছে।