কানপুরে একজন গৃহনির্মাতা একজন বয়স্ক মহিলাকে ফাঁদে ফেলে তার বাড়ি দখল করার জন্য জঘন্য ফাঁদ পেতে রেখেছিলেন। পাশাপাশি ইনফর্মারের মাধ্যমে ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও পুলিশকেও খবর পাঠানোর ব্যাবস্থা করেন।
উত্তরপ্রদেশের কানপুর থেকে এই জঘন্য ষড়যন্ত্রের ঘটনা সামনে এসেছে। একজন গৃহনির্মাতা ৭৫ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ মহিলাকে তার বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য একটি ফন্দি আঁটেন। আসলে বাড়িটি খালি করানোই তার উদ্দেশ্য ছিল। এর জন্য ওই বিল্ডার প্ল্যান করে একজন গোয়েন্দার মাধ্যমে ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও পুলিশকে খবর দেন। কিন্তু পুলিশ তদন্তে গেলেই গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়।
সূত্র অনুযায়ী, স্থানীয় বিল্ডার আতিফ ওই বৃদ্ধা মহিলার বাড়িটি কেনার জন্য এগ্রিমেন্ট করেছিলেন। বৃদ্ধ হামিদা বাইয়ের কাছ থেকে বাড়ি খালি করার আগেই তিনি বাড়ির জল বন্ধ করে দেন। সোমবার আতিফ তার কর্মচারী গুরফানের মাধ্যমে চুপিচুপি দেড় কেজি চরস ওই মহিলার বাড়িতে লুকিয়ে রাখেন। এরপর তিনি ক্রাইম ব্রাঞ্চকে খবর পাঠান, হামিদা বাই চরসের বড় একজন পাচারকারী। তার বাড়িতে নতুন মাল এসেছে।
খবর পেয়ে ক্রাইম ব্রাঞ্চের দল বেকনগঞ্জ থানার পুলিশ অভিযানে যায়। সেখানে হামিদা বাইকে এমন অসুস্থ অসহায় অবস্থায় দেখে পুলিশ নিজেই অবাক হয়ে যায় যে এই মহিলা কিভাবে চরস পাচার করতে পারে। ডিসিপি প্রমোদ কুমার বলেন, সেখানকার পরিস্থিতি দেখে আমরা চরস উদ্ধারকারী গুরফানকে কঠোরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিষয়টি প্রকাশ্যে এসে যায়। এর মালিক বিল্ডার আতিফ নিজেই বাড়িটি খালি করানোর জন্য চরস এনে সেখানে রেখেছিলেন।
বৃদ্ধার মেয়ে বলেন, আতিফ এর আগেও বহুবার আমাদের উত্ত্যক্ত করেছে। ক্রাইম ব্রাঞ্চ এখুনি আমাদের বাড়িতে রেইড করতে এসেছিল। তিনি চরস গুলো উদ্ধার করেন। জিজ্ঞেস করলে আমরা জানাই- এই যে মা, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি উঠতেও পারেন না।
এই ঘটনায় কানপুর পূর্ব ডিসিপি প্রমোদ কুমার বলেন, আমরা খবর পেয়েছি যে এই বাড়িতে চরস রাখা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদক উদ্ধার করলেও বৃদ্ধ মহিলার অবস্থা দেখে সন্দেহ হয়। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত করলে দেখা যায়, আতিফ বাড়ি খালি করার ষড়যন্ত্র করেছে। পুলিশ গুরফানকে গ্রেপ্তার করেছে এবং আতিফকে খুঁজছে।