হরিয়ানার ফরিদাবাদে (Hariyana Faridabad) দুই ভাইয়ের অশান্তি আর ঝগড়া এতোটাই চরম মাত্রা ছুঁয়েছিল যে বড় ভাইয়ের স্ত্রী তার দেওরের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করে দেয় এবং ছোট ভাইয়ের স্ত্রী তাঁর ভাসুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণের অভিযোগে বিব্রত হয়ে বল্লভগড়ের মহিলা থানায় পুলিশ ও পরিবারের সদস্যদের সামনেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই যুবক। মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পর পুলিশ অভিযুক্ত ভাই ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছে।
ঘটনাটি ফরিদাবাদের বাদশা খান হাসপাতালের। এই হাসপাতালে রিঙ্কু নামে এক যুবকের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। হরিয়ানা পুলিশ জানিয়েছে, বড় ভাই রিঙ্কু এবং তার ছোট ভাই দীপকের মধ্যে কোনো একটি বিষয় নিয়ে বিবাদ বেঁধেছিল। পরস্পরের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন তারা। এ নিয়ে রিংকুর স্ত্রী তার দেওর দীপকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করলে দীপকের স্ত্রী পাল্টা ভাসুর রিংকুর বিরুদ্ধে মহিলা থানায় গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে আসেন।
নিহতের মা জানান ছোট ছেলে দীপকের স্ত্রী মিথ্যা অভিযোগ করেছে
রিংকুকে মহিলা থানায় ডাকা হলে পুলিশ ও উপস্থিত সকলের সামনে রিংকু কোনো বিষাক্ত পদার্থ খায়, এতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। বিষ খাওয়ার পর রিংকুকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রিঙ্কু মারা যাওয়ার পর তার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনায় পুলিশ ছোটো ভাই দীপক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। নিহত রিংকুর মা বলেন, দুই মাস ধরে রিংকু ও দীপকের মধ্যে ঝগড়া অশান্তি চলছিল। এ নিয়ে দীপকের স্ত্রী রিংকুর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেন। এতে রিংকু বিব্রত হয়ে বিষাক্ত পদার্থ খেয়ে জীবন দেন। নিহতের মা জানান ছোট ছেলে দীপকের স্ত্রী মিথ্যা অভিযোগ করেছে। পুলিশ এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করছে।