প্রায়শই লোকেরা এমন এমন কিছু অদ্ভুত কাজ করে যা বেশ চমকপ্রদ। বিশেষত নেশার ঘোরে যে মানুষ কি করে তার ঠিক নেই। কেউ মারধর শুরু করে, কেউ নাচ-গান শুরু করে আবার কেউ কেউ হাসতে বা কাঁদতে শুরু করে। কিন্তু ইংল্যান্ডের এক মহিলা মাতাল হয়ে এমন কিছু করলেন যা অদ্ভুত তো বটেই কিন্তু আগে কখনো কেউ করিয়েছে বলে মনে হয় না। মদের নেশা কেটে তার জ্ঞান আসার পরে এর জন্য তিনি অনুশোচনাও করেছেন। কিন্তু ততক্ষনে যা হবার হয়ে গেছে। কি করেছেন এই মহিলা? পুরোটা জানুন তাহলে..
আসলে এক ব্রিটিশ মহিলা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তার শরীরের অদ্ভুত একটি অংশে একটি অজানা পুরুষের নাম ট্যাটু করিয়েছিলেন (British Women Make Tattoo of A Unknown on Her Hip)।
৩২ বছর বয়সী কাইলি উইলিয়ামস (Kaylie Williams), যিনি ইংল্যান্ডের হেয়ারফোর্ডে (Hereford, England) বসবাস করেন, বর্তমানে তিনি দুই সন্তানের মা, কিন্তু যখন তিনি অবিবাহিত ছিলেন, তখন তিনি তার বন্ধুদের সাথে অনেক মজা করতেন এবং মাঝেমধ্যেই ঘুরতে বেড়াতে যেতেন। ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১২ সালে, কাইলি তার গার্ল গ্যাংয়ের (মহিলা বন্ধুদের দল) সাথে স্পেনের মাগালুফ শহরে গিয়েছিলেন যেখানে তারা প্রচণ্ড পার্টি করেছিলেন। কিন্তু তার মজা হঠাৎই শাস্তিতে পরিণত হয়।
আসলে, কাইলি এবং তার বন্ধুরা যখন পার্টি করার পরে একটি পাব থেকে বেরিয়ে আসছিল, তারা একটি ট্যাটু দোকানের বাইরে পৌঁছেছিলেন যেখানে কিছু স্প্যানিশ পুরুষও দাঁড়িয়ে ছিল। তারা সবাই একে অপরের সাথে ঠাট্টা, ইয়ার্কি, কথা বলতে শুরু করে দেন এবং এরপরই হঠাৎ স্প্যানিশ পুরুষদের মধ্যে থেকে একজন ব্যক্তি তাদের একটি অদ্ভুত চ্যালেঞ্জ দিল। তিনি কাইলিকে নিজের নিতম্বে তার নাম ট্যাটু করাতে চ্যালেঞ্জ করেন। কাইলি মদের নেশায় থাকায় যথেষ্ট সচেতন ছিলেন না, তাই কোনো কিছু না ভেবেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন। তবে কাইলি বলেছিলেন যে ওই স্প্যানিশ পুরুষ যদি ট্যাটু করার জন্য অর্থ দেন তবেই তিনি এই ট্যাটু করাবেন।
লোকটিও একথা শুনে অবাক হল। কিন্তু সেও হাসি-ঠাট্টা করার মেজাজে ছিল, তাই সেও রাজি হয়ে গেল। কাইলি তার নিতম্বে ‘ড্যানিয়েল ফোর্ড’ নামক ট্যাটু করিয়ে ফেলেন। হুঁশ ফিরতেই বুঝতে পারেন কি করে ফেলেছেন তিনি। এমনকি এই কাজের ১০ বছর পরেও, তিনি অবাক হয়ে যান এটা ভেবে যে যেই ড্যানিয়েলের মুখ পর্যন্ত তার মনে নেই বা যার সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না তার নামের ট্যাটু তার শরীরে। তিনি সেই পুরুষদের কাছে সম্পূর্ণ অপরিচিত ছিলেন। এমতাবস্থায়, তিনি বর্তমানে হাসেন এবং আফসোস করেন যে তিনি মজা করে নিজের শরীরে কোনও অজানা ব্যক্তির নামে ট্যাটু করিয়ে ফেলেছেন। সেই ঘটনা মনে করে তার বন্ধুরা এখনো হাসে। তবে এখন ট্যাটু করিয়ে আর আফসোস করেন না কাইলি। তার শরীরে অনেক ট্যাটু আছে, যার মধ্যে এই ট্যাটুটি তার সবচেয়ে ভালো লাগে।