বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণের অতিমারির মধ্যেই বিট্রেনে দেখা দিয়েছে ‘মাঙ্কিপক্স’ -এর আতঙ্ক। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এই সংক্রমনের খবর জানিয়েছেন ব্রিটিশ সরকারের স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শদাতা রিচার্ড ফার্থ।
জানা গিয়েছে উত্তর ওয়েলসে ইতিমধ্যেই ২ জনের দেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ‘মাঙ্কিপক্স’ আর কেউ সংক্রমিত হয়েছেন কিনা তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটেনের স্বাস্থ্যসচিব ম্যাট হ্যানকক।
কী এই মাঙ্কিপক্স? এই সংক্রমনের উপসর্গই বা কি?
১৯৫৮ সালে প্রথম মাঙ্কিপক্স গবেষণাগারে এক বানরের দেহে দেখা যায়। এরপর ১৯৭০ সালে মানব দেহে মাঙ্কিপক্স সংক্রমনের ঘটনা ঘটে আফ্রিকার রিপাবলিক অফ কঙ্গো তে। বহু মানুষ আক্রান্তও হয়েছিলেন। ২০০৩ সালে আমেরিকা ও আরও অনেক নানা দেশে এর সংক্রমণ ছড়ায়। যদিও পরে তা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
প্রাণী দেহ থেকেই এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ায়। মাঙ্কিপক্স গুটিবসন্ত গোত্রের ভাইরাস। তবে সংক্রমণের মাত্রা অনেকটাই কম।
মাঙ্কিপক্স – এর উপসর্গ সম্পর্কে আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন(সিডিসি) জানিয়েছে, মানবদেহে এই সংক্রমন হলে প্রায় ৫ দিন পর দেহের বিভিন্ন জায়গায় র্যাশ বেরোতে শুরু করে। আস্তে আস্তে তা সারা শরীরে ছড়াতে শুরু করে। লালচে র্যাশ গুলো পরে ফোসকার চেহারা নেয়।
পাশাপাশি মাথাব্যথা, হাতে পায়ের পেশীতে ব্যথা এবং ক্লান্তি ভাব দেখা দেবে। র্যাশে চুলকানিও হবে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শারীরিক ক্লান্তি থাকবে ২-৪ সপ্তাহ। তবে সস্তির খবর হল যে, এই ভাইরাসের জন্য রয়েছে ভ্যাকসিন। যা বেশ কার্যকর বলে আগেও প্রমাণিত হয়েছে।