রীতি মেনে সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল প্রায় অর্ধেক বিয়ে। বাকি কিছু মূল বিয়ের অনুষ্ঠান, রীতিনীতি ভোরে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আচমকাই বিয়ে করার থেকে বেঁকে বসেন কনে। কি কারণে? কারণটা বেশ চমকপ্রদ! জানুন পুরো বিষয়টা।
উত্তরপ্রদেশের উন্নাও জেলায় একটি বেশ চাঞ্চল্যকর ঘটনার খবর সামনে এসেছে। আসলে সেখানে দুই পরিবারের সম্মতিতে এবং পাত্র-পাত্রীর মান্যতায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হচ্ছিল। বিয়ের অর্ধেক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল এবং সকালে বাকি ছিল মূল কিছু বিয়ের অনুষ্ঠান। তখন হঠাৎই বিয়ের পুরো দৃশ্যপট পাল্টে গেল। বিয়ের ধকল কম নয়। সকাল বেলার দিকে বাকি বিয়ে সম্পন্ন করতে মন্ডপের দিকে যাচ্ছিল বর। হঠাৎই তার মাথা ঘুরে ওঠে আর সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। সাথে সাথেই যাচ্ছিল তার কনে। হবু স্বামীকে এইভাবে পড়ে যেতে দেখে সে দ্রুত গিয়ে তার মাথা হাত দিয়ে ধরে নিতে যায়। আর এখানেই ঘটে বিপত্তি। আচমকাই বরের চুল খুলে তার হাতে চলে আসে। কনে দেখতে পায় বরের মাথায় টাক। লাগানো ছিল নকল চুল।
কনের পরিবার বরের টাক মাথা সম্পর্কে অবগত ছিল না। কনে যখনই জানতে পারে যে বর টাক, তিনি বিয়ের বাকি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অস্বীকার করেন। এমনকি অনেক বোঝানোর পরও কনে তার কথায় অনড় থাকে। বিষয়টি স্থানীয় থানায় পৌঁছালেও পুলিশের হস্তক্ষেপে রাজি হননি কনে। এ ব্যাপারে তখন বাধ্য হয়ে পঞ্চায়েত ডাকা হয়।
পঞ্চায়েতে মেয়েটির পরিবার জানিয়েছে, বিয়েতে তাদের খরচ হয়েছে ৫.৬৬ লক্ষ টাকা। এরপর বরের পক্ষ তার দাবি মেনে নিয়ে কনের বাবাকে টাকা ফেরত দিয়ে দেয়। কনে ছাড়াই কানপুরে ফিরে যায় বরযাত্রীর মিছিল। এই তথ্য জানিয়ে পারিয়ার থানার ইনচার্জ রামজিৎ যাদব বলেছেন যে কনে বিয়ের জন্য প্রস্তুত একেবারেই প্রস্তুত নয়, এমতাবস্থায় উভয় পক্ষই একটি সমঝোতা করে নেয়।
কনের কাকা এই প্রসঙ্গে বলেন, বরের পরিবারের লুকানো উচিত ছিল না যে তিনি টাক। তিনি বলেন তারা যদি তারা আমাদের সত্যিটা জানাতো তাহলে আমরা কনেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে পারতাম এবং সে এইভাবে শক খেত না। মিথ্যার ভিত্তিতে বিয়ের মত পবিত্র সম্পর্ক আশা করা যায় না।