বিয়ের অনুষ্ঠান ভারতবর্ষের বেশীরভাগ পরিবারে ধুমধামের সাথে উদযাপিত করা হয়। সমস্ত আত্মীয়, স্বজন, প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধব উপস্থিত হয়ে মহা সমারোহে বিয়ে বাড়ি সরগরম করে তোলে। এহেন বিয়ের অনুষ্ঠান ঘিরে মাঝে মাঝে এমন অদ্ভুত অদ্ভুত খবর প্রকাশ্যে আসে যে বলাই বাহুল্য। এরকমই একটি খবর আবার সামনে এলো যেখানে বর এবং বরযাত্রী বিয়ের আসরে পৌঁছনোর পর কনেপক্ষের লোক এমন রেগে গেলো যে সাথে সাথে পঞ্চায়েত বসাতে হলো। পুরো ঘটনাটা কী? জানুন বিস্তারিত…
আসলে বরযাত্রী নিয়ে বর বিয়ে করতে পৌঁছে গেলেও কনের গলার মালা যেটা বরের আনার কথা সেটা তিনি আনতে পারেননি। অনুষ্ঠানের সময় বিষয়টি নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। মেয়ের পক্ষ বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায়। গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে পঞ্চায়েত বসানো হলেও সব নিষ্ফলই থেকে গেল। কনে ছাড়াই ফিরেছে বরযাত্রী শেষ অবধি।
ঘটনাটি উত্তর প্রদেশের যেখানকার নিমগাঁও কোতয়ালী এলাকার ঢাকিয়া বড় গ্রাম থেকে সেই এলাকার একটি গ্রামে বরযাত্রী যায়। জানা গেছে যে বরযাত্রী বর নিয়ে গ্রামে পৌঁছানোর সাথে সাথে মেয়ে পক্ষের লোকজন উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায় এবং জল সরবত খাওয়ায়। এর পর শোভাযাত্রা ঘোড়া চরাইয়ের জন্য প্রস্তুত হয়। শোভাযাত্রা করে ঘোড়ায় চরে বর বিয়ের মণ্ডপে উপস্থিত হলো। শুরু হলো বিয়ের প্রস্তুতি। দুই তরফেই ছিল আনন্দের পরিবেশ। এমনকি বাড়ির বাইরেও গ্রামের সকল নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। বরের বাবা জানান, ঘটনাস্থলে উপস্থিত কনের বাবা নৈবেদ্যে একটি গলার হার দেওয়ার কথা বলেন। পাত্রের পিতা জানিয়েছেন প্রায় ৮০ হাজার মূল্যের গহনা নিয়ে নিয়ে গেলেও নেকলেস না আনার কারণে কনের বাবা রেগে যায়।
গ্রামে পঞ্চায়েত শুরু হয়। কিন্তু মেয়ের বাবা কোনো কিছুই শুনতে বা মানতে রাজি ছিলেন না। সারারাত পঞ্চায়েত চলল কিন্তু কোন ফল বের হল না। অবশেষে সকালে কনে ছাড়াই ফেরে বরযাত্রীর দল। উভয় পক্ষই এ বিষয়ে পুলিশকে কিছু জানায়নি।