খোঁজ খোঁজ খোঁজ! কোথাও হদিশ নেই। বিয়ের দিনই উধাও বর বাবাজী। অথচ কনে কে তিনি নিজেই বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এতে স্তম্ভিত আর দুঃখিত দুই হলেও কনে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি আশা করেছিলেন বর ফিরে আসবেন। কিন্তু, তার আশা ভেস্তে গেল। কিন্তু এত কিছু সত্বেও কনে বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল করেননি। তাহলে হলো টা কি?
আসলে বিয়ের দিন হঠাৎ করেই পালিয়ে যায় বর। একথা শুনে কনে অবাক হয়ে যায়। তার হৃদয় একবার ভেঙে গিয়েছিল, কিন্তু তারপরে সে বরকে ছাড়াই বিয়ের সমস্ত অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছিল। এমনকি বরকে ছাড়াই বিয়ের ছবিও ক্লিক করেছেন তিনি। আশ্চর্যের বিষয় হল, পালিয়ে যাওয়া ব্যাক্তিই মেয়েটিকে প্রস্তাব দিয়েছিল।
ব্রিটেনের ওয়েলসের বাসিন্দা কাইলি স্টেডের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল ১৫ সেপ্টেম্বর। এই বিয়ের আয়োজনে খরচ হয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকা। কিন্তু তারপর, কাইলি জানতে পারে যে বর পালিয়ে গেছে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও তিনি আগের মতোই অতিথিদের সামনে সব আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন। পেশায় ইন্স্যুরেন্স ক্লার্ক কাইলি জানান, তিনি ৪টা পর্যন্ত বরের জন্য অপেক্ষা করেন। তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
কেন তিনি বিয়ে থেকে বিরত ছিলেন? এ বিষয়ে তাদের কোনো অনুমান নেই। কাইলি এবং তার এই ব্যাক্তির মধ্যে সম্পর্ক ডিসেম্বর ২০১৮ সালে শুরু হয়েছিল। এই প্রাক্তন প্রেমিক ২০২০ সালের আগস্টে কাইলিকে প্রস্তাব করেছিলেন।
বিয়ের ঠিক একদিন আগে, কাইলি এবং তার বন্ধুরা এয়ারবিএনবি হলিডে হোমে উদযাপন করছিল, যখন বর এবং তার বন্ধুরা কাছাকাছি পার্টি করছিল। কাইলি বলেন- আমি আর বর বিয়ের একদিন আগে কথা না বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এমতাবস্থায় তিনি মোটেও সচেতন নন যে, তার দিক থেকে কী হয়েছে?
কাইলি জানান, বরের এক বন্ধু তার বন্ধুকে ফোন করে জানায় যে সে চলে গেছে। কাইলির ফোনে পড়ে থাকা শাশুড়ির মিস কলও ছিল। কাইলি আবার ফোন করলে সে বলেছিল সে পালিয়ে গেছে।
তবে এর পরেও ফিরবেন বলে আশাবাদী কাইলি। কাইলির মতে, প্রায়শই যখন প্রাক্তন প্রেমিক নার্ভাস থাকত, তখন তিনি হাঁটতে বা গাড়ি চালাতে যেতেন। কিন্তু, সময়ের সাথে সাথে কাইলির আশাও ক্ষীণ হতে থাকে। একটা সময় এল যখন সে কাঁদতে লাগল। এসময় বরের পরিবারও বিয়ের স্থান ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু, তারপর কাইলি পরিকল্পনা অনুযায়ী সবকিছুই করেছিলেন। যা কিছু তিনি বিয়ের অনুষ্ঠানে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।
কাইলি তার বাবা, ভাই এবং বরের বন্ধুদের সাথেও নাচলেন। যাইহোক, কাইলির বর যদি পালিয়ে না যেত, তাহলে দুজনেরই তুরস্কে হানিমুনে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। এই ঘটনার পর, কাইলির বন্ধুরা ক্রাউডফান্ডিংয়ের জন্য GoFundMe-এ তার জন্য একটি পেজ তৈরি করেছে। যাতে করে তাদের বিয়ের দিন কিছু খরচ মেটানো যায়।