বসেছিল বিয়ের আসর। মন্ত্র পড়ে পুরোহিত সম্পন্ন করছিলেন বিয়ে। এত অবধি সব ঠিকই ছিল। কিন্তু তাল কাটলো সাত পাকে ঘোরার সময়। আচমকাই কিছু লক্ষ করে বেকে বসলো কনে। আর কিছুতেই বিয়ে করতে রাজি হলো না। শেষমেষ ভেস্তেই গেল বিয়ে। কিন্তু এমন কি দেখলো কনে।
হরিয়ানার বরের বিচলিত পা দেখে কনে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। যার পরে বর অনেক হৈচৈ সৃষ্টি করে এবং কনেকে বিয়ের জন্য জোর করে। শুধু তাই নয় বর কনের হাত ও ধরেছিল। যার পরে কোনের পরিবার তাকে রেগে গিয়ে মারধর করে এবং বরযাত্রী কে তাড়িয়ে দেয়।
এটি পানিপথের ঘটনা। সংবাদ অনুসারে সানোলি থানা এলাকার একটি গ্রামে দুই বোনের বিয়ে হয়েছিল। বড় বোন এবং ছোট বোনের বিয়ের বরযাত্রী ভিন্ন গ্রাম থেকে এসেছিল। প্রথমে বড় বোনের বিয়ে হয় এবং তার পরের ছোট বোনের একই মণ্ডপে বিয়ে শুরু হয়। তবে ছোট বোনের বর মাতাল ছিল।
যার কারণে বিয়ে মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। বড় বোনের সাতপাকে ঘোরার পরে ছোট বোনের অনুষ্ঠান শুরু হয়। বর মাতাল ছিল যার কারণে তিনি ঠিক মতো দাঁড়াতে পারছিলেন না। ফলে সাতপাকে ঘোরার সময় তার হাঁটতে সমস্যা হচ্ছিল।
কোনের সন্দেহ হয় এবং তিনি বিয়ে বন্ধ করে দেয় এবং বর যাত্রী দের ফিরে যেতে নির্দেশ দেন এই বলে যে তিনি এই বিয়ে করবেন না। বিয়েতে অস্বীকার করার কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন যে, যে মানুষ বিয়ের দিনই মদ খেয়ে আসে তাহলে অন্যান্য দিনগুলিতে সে কি করে?
আমার বিবাহিত জীবন কি করে সুখের হবে? বিষয়টি শুনে বর সবার সামনে মেয়েটির হাত ধরে সাতপাকে ঘোরার জন্য জেদ করতে থাকে। এই দেখে মেয়েটির পরিবার রেগে যায় এবং বর কে মারধর করতে শুরু করে।
কিন্তু সেদিন রাতে ফিরে আসলেও ছেলেটি পরেরদিন অর্থাৎ সোমবার কিছু প্রভাবশালী লোক কে নিয়ে মেয়ের বাড়িতে হাজির হয় এবং সবাই মিলে মেয়েটিকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে শুরু করে। পঞ্চায়েতে চার ঘণ্টা বৈঠকের পর গ্রামবাসী মেয়েটিকে তার এই সিদ্ধান্তের জন্য সমর্থন করে। গ্রামবাসীরা জানান মেয়েটির সিদ্ধান্ত একদম ঠিক। প্রত্যেক মেয়েরই এখনকার দিনে সবকিছু মেনে না নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।।