সম্পর্ক নিয়ে এখন দুনিয়া অনেক খোলামেলা, উদার মানসিকতার। আজকাল বিয়ের আগে থেকেই গার্লফ্রেন্ড-বয়ফ্রেন্ড লিভ-ইনে থাকতে শুরু করে। গার্লফ্রেন্ড-বয়ফ্রেন্ড চাকরি, নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যাস্ততার কারণে বিয়ের সময়ই পায় না ইদানিং। যে কারণে অনেক প্রেমিক যুগল বিয়ে ছাড়াই লিভ-ইনে থাকতে শুরু করে দেন। ট্রেসি ডাউডস, (Tracey Douds) যিনি পেনসিলভেনিয়াতে (Pennsylvania) থাকেন, তার প্রেমিকের সাথে লিভ ইনে থাকার জন্য একটি সুন্দর বাড়ি কিনেছিলেন। সে এবং তার প্রেমিক ওই বাড়িতে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন।
নিউ ইয়র্ক পোস্ট’-এর খবরে বলা হয়েছে, বাড়িটি প্রেমিকা কিনে দিলেও প্রেমিকই তা দেখাশোনা করতেন এবং বাড়ীর সব কাজ করতেন। শুরুতে সবকিছু ঠিকঠাক ছিল, কিন্তু কিছু দিন পর প্রেমিক তার বান্ধবীর বাথরুম থেকে খুব তীব্র দুর্গন্ধ পেতে শুরু করে। এই দুর্গন্ধ প্রায় রাতেই আসত। এতে ওই বাড়িতে প্রেমিকের বসবাস করাই এক রকম কঠিন হয়ে পড়ে। বয়ফ্রেন্ড ভাবতো তার গার্লফ্রেন্ড রাতে কি করে, যার কারণে তার বাথরুমে দুর্গন্ধ হয়।
এরপর প্রেমিক তার প্রেমিকার বাথরুম তল্লাশি করে। এতে প্রেমিকের মনে হলো, হয়তো বান্ধবীর বাথরুমের ভেতরে কোনো প্রাণী বা বিড়াল মারা গেছে, যার কারণে এমন তীব্র গন্ধ আসছে। এই প্রাণীটিকে খুঁজে পেতে, প্রেমিক একজন প্লাম্বারকে ডেকেছিল। বাথরুমে প্রাণীটির খোঁজ শুরু হলে যে রহস্য উদঘাটিত হয় তা দেখে প্রেমিকের হুঁশ উড়ে যায়। তার প্রেমিক বাথরুম থেকে এমন কিছু পেল যা কল্পনারও অতীত।
প্রেমিক তার গার্লফ্রেন্ডের বাথরুমের ভিতর একটু খোঁড়াখুঁড়ি করলে সে ভয়ে চিৎকার করে ওঠে। বাথরুমের তলায় পোঁতা ছিল মানুষের কঙ্কাল। এটা দেখে প্রেমিকাও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। বাড়িটা কেনার আগে থেকেই সেখানে এক মানুষের লাশ কবর দেওয়া ছিল। এরপর সেখান থেকে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ বের হয়। এরপরই দম্পতি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন। লাশ কার সেই রহস্য উদঘাটনে নেমেছে পুলিশ।