ছেলে কথা শোনেনা। মাঝেমধ্যে বন্ধুবান্ধব নিয়ে আড্ডা বসায়। বাবাকে জিজ্ঞাসা না করেই বা অনুমতি না নিয়েই বাড়িতে যখন তখন যাকে তাকে ডেকে পাঠায় ছেলেটি। চলতো আড্ডা ফুর্তি। বাধা দিলেও কান দিত না ছেলে। উশৃংখলতা সব সীমাই পার করছিল সে। দিন দিন বিষয়টি বিরক্তিকর হয়ে উঠলেও চলছিল একরকম। কিন্তু এই দিন যা ঘটলো তার জন্য প্রস্তুত ছিলনা তার বাবা। কি ঘটেছিল? জেনে নিন পুরো বিষয়টা।
Zee ২৪ ঘন্টায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী বুধবার দিন সকালবেলা রোজকার মতই বাজার সারতে গিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ঠাকুর নগরের কাড়লার বাসিন্দা স্বপন বিশ্বাস। বাজার করে বাড়ি ফিরে এসে ঘরের দরজা খুলতেই যে দৃশ্য তাঁর চোখে পড়ে তাতে স্তম্ভিত হয়ে যান তিনি। স্বপন বিশ্বাস নামক ওই ব্যক্তি জানান তিনি দেখেন ঘরের ভেতর বিছানার উপরে ‘নগ্ন’ অবস্থায় শুয়ে রয়েছে ছেলেরই এক বন্ধু। সাথে রয়েছে আরেক তরুণীও। নিজের বাড়িতে এমন দৃশ্য দেখে প্রাথমিক হতভম্বতা কাটিয়ে প্রতিবাদ করে ওঠেন তিনি। রাগারাগি করে ওই ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেন। দুজনকে ঘরে আটকে রাখেন। কিন্তু এই শুনে ছেলে লজ্জা পাওয়া তো দূরের কথা উল্টে বাবার উপরে চোটপাট করতে শুরু করে। বাদ বিবাদ চলার সময় বাবার গায়ে হাত তোলে ছেলে। ইঁট দিয়ে মেরে বাবার মাথা ফাটিয়ে দেয়।
এরপরেই মাথা ফাটা অবস্থায় বাড়ির অন্যান্যরা দ্রুত চিকিৎসার জন্য চাঁদপাড়া ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা স্বপন বাবুর প্রাথমিক চিকিৎসা করে। জানা গিয়েছে তার মাথায় ডাক্তাররা চারটি সেলাই করেছেন। স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে নিজের ছেলের এমন আচরণের বিরুদ্ধে গাইঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্বপন বিশ্বাস। ছেলের উচিত শাস্তির দাবি করেছেন তিনি। নিজের অভিযোগে জানিয়েছেন ছেলে নেশাগ্রস্ত। কোন কাজকর্ম করে না। বাড়িতে বন্ধু-বান্ধবীদের ডেকে এনে উশৃংখলতা করে এবং বাধা দিলে শোনে না। এই ঘটনার নিন্দা করছেন স্বপন বাবুর প্রতিবেশীরাও। অভিযুক্ত ছেলেটিকে আটক করেছে গাইঘাটা থানার পুলিস।