২০ বছর পর আবারও আফগানিস্তানের তালিবান। প্রথমবারের তুলনায় তারা নাকি অনেক বেশি উদার ! মধ্যযুগীয় ইসলামিক বর্বরতা থেকে তারা অনেকটাই সরে এসেছে। ইসলামে দেওয়া বিধান অনুযায়ী অধিকার দিতে ইচ্ছুক নারীদেরও। কিন্তু তাদের বক্তব্যে আর করা কাজের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক। অন্তত তালিবান শাসনের প্রথম কয়েকদিনেই তাদের আচার আচরণ তেমনটাই বোঝা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আফগান মহিলারা।
আফগানিস্তানে তালিবান ফিরতেই আকাশ ছুঁয়েছে হিজাব, বোরখা, এবং পাগড়ির দাম। দোকান বাজার বন্ধ থাকায় কোথাও দোকান খুলিয়ে সাধারণ সময়ের দামের থেকে দশগুণ বেশি দাম দিয়ে হিজাব কিনছে সাধারণ আফগানি নারীরা। সবচেয়ে সমস্যায় কাবুলের নারীরা। তালিবানের কাবুলের দখলের পরই নারীরা সাহস করছেন না বোরখা, হিজাব ছাড়া বাইরে বেরোনোর তাই লাফিয়ে আকাশ ছুঁয়েছে দাম।
প্রথমবারের ১৯৯৬ সালে তালিবানি শাসনে ফতোয়া ছিল, শরীর পুরোপুরি না ঢেকে মহিলারা বাড়ির বাইরে বেরোতে পারবেন না। স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। বাড়ির বাইরে পুরুষ অভিবাবক ছাড়া পাই রাখতে পারতেন না মহিলারা। তারপর আমেরিকা লাদেনের খোঁজে আসে আফগানিস্তানে। পতন হয় তালিবান শাসনের। এর পরে ২০ বছর পরে আবারও তালিবান ফের ফিরেছে কাবুলের শাসনে। এই বার তাদের উপর কি ফতোয়া নেমে আসবে এখন এই আশঙ্কায় কাঁপছেন আফগান নারীরা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে এক আফগান মহিলা নিজের অভিজ্ঞতা জানান এই বিষয়ে, তাঁর বাড়িতে রয়েছে ২টি বোরখা আছে, কিন্তু বাড়িতে মহিলার সংখ্যা ৩। কবুল জুড়ে দোকান পাট বন্ধ। এদিকে আকাশ ছুঁয়েছে চাহিদা। যে কয়েকটি দোকান এই ডামাডোলের পরিস্থিতিতেও খোলা, সেখানে এক একটি হিজাবের দাম সাধারন সময়ের দামের চেয়ে দশগুণ বেশি হাঁকা হচ্ছে। ফলে চরম অসুবিধার মুখে পড়ছেন সেই দেশের মহিলারা। তাই বাধ্য হয়ে বাড়ির বিছানার চাদর কেটে বোরখা তৈরী করে পরিকল্পনা করছেন তাঁরা।
বোরখা, হিজাবের পাশাপাশি পুরুষদের মাথার পাগড়ির চাহিদাও বেড়েছে আফগানিস্তানে। তালিবান শাসনে ফেরার পরই পুরুষদের জন্য পাগড়ি পরা বাধ্যতামূলক। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও তাদের জন্যে নির্দিষ্ট নিয়ম জারি না হলেও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন পুরুষরাও।