এই দৃশ্য দেখলে যে কেউ ভয় পেয়ে যেতে! এই কাঁপন ধরানো ফিল্ম টাইপ দৃশ্যটি পূর্ব থাইল্যান্ডের চোনবুরির ব্যাং সেন জেলার সৈকতে দেখা গেছে। বালির উপর পড়ে থাকা এক যুবতী নগ্ন মহিলার অনাবৃত মরদেহ দেখে লোকজন বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। তা দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ডাকা হয়। কিন্তু মরদেহ ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে সবাই হতবাক হয়ে যায়।
এটি একটি মৃতদেহ নয়, একটি মূল্যবান সেক্স ডল:
১৮ই আগস্ট প্রথম এই মর্মান্তিক ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে সৈকতে একটি আকর্ষণীয় যুবতী নগ্ন মহিলার দেহ পড়ে রয়েছে। আতঙ্কিত লোকেরা অবিলম্বে পুলিশকে ফোন করে যে তারা একজন ‘মহিলার’ খুন হওয়া দেহ দেখেছে। তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে, পুলিশ তৎক্ষণাৎ তাদের তদন্ত দল ও টেপ নিয়ে (অপরাধের স্থান ঘেরাও করার জন্য প্রয়োগ করা টেপ) অপরাধের দৃশ্যটি সিল করার জন্য সেখানে পৌঁছে যায়। সৈকতে পুলিশের গাড়ির সাইরেন বেজে ওঠে।
তবে পুলিশ কথিত মৃতদেহের পা ঘনিষ্ঠভাবে পরীক্ষা করলে গায়ের রং দেখতে কেমন যেন অদ্ভুত লাগে। হাত দিয়ে দেখতে গেলে, ত্বক রাবারের মতো অনুভূত হয়। পরে জানা যায়, এটি কোনো নারীর লাশ নয়, একটি সেক্স ডল। পুলিশ আরো লক্ষ্য করেছে যে তার মাথা নেই এবং তার নীচের অংশ খোলা ছিল। যখন পুলিশ ইন্টারনেটে তদন্ত করে, তখন দেখা যায় যে এর মূল্য প্রায় ২০,০০০ বাহট (থাই মুদ্রা)।
এই ধরনের সিলিকন সেক্স ডলের দাম ৫০০ ডলার পর্যন্ত হয়:
মানুষ যা ভেবেছিল কোনো মেয়ের মৃতদেহ তা পরিণত হল সিলিকন সেক্স ডলে। আসলে সিলিকন একটি জড় কৃত্রিম উপাদান। এটি তেল, রাবার এবং রজন (রজন-আঠার মতো হাইড্রোকার্বন তরল যা গাছের ছাল এবং কাঠ থেকে আসে) থেকে তৈরি করা হয়। পুলিশের মতে, এটি একটি জাপানি পুতুল, যা অনলাইন অর্ডার করলে পাওয়া যায়। এটির দাম ৫০০ ডলার পর্যন্ত হয়। মনে হয় জীবন্ত মেয়ে। ধারণা করা হচ্ছে, কোনো যুবক এটি তীরে ফেলে রেখে গেছে বা হারিয়ে গেছে। পরে সে ঢেউয়ের সাথে বয়ে তীরে আসে। পুতুলটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য কেউ এমন নাটক করে থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। পুলিশ বলেছে, ভুলবশত রেখে গেলে মালিক পুলিশের কাছ থেকে ফেরত নিতে পারবে।