Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং স্বাস্থ্য

অবশেষে জানা গেলো ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমনের উৎস: সতর্ক না থাকলে ভুগতে পারেন আপনিও

অবশেষে জানা গেলো ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমনের উৎস। এই নিয়ে বিশেষ পরামর্শে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সতর্ক থাকার জন্যে কি করণীয় দিলেন তার হদিশ ও।

করোনা রোগীদের বেশিরভাগেরই হাসপাতালে ভর্তির দরকার পড়লেই প্রথমে অক্সিজেন দেওয়া হয়। আর মূর্তিমান বিপদ লুকিয়ে আছে সেই খানেই। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অক্সিজেন সিলিন্ডারে থাকে হিউমিডিফায়ার। এই হিউমিডিফায়ার কে যদি নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না করা হয়, তবে সেইখান থেকেই রোগীর দেহে প্রবেশ করতে পারে এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। তাই এই নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।

এবারে পশ্চিমবঙ্গেও মিলল কালো ফাঙ্গাসের থাবা, ৩ জনের শরীরে পাওয়া গেল এই মারণ ছত্রাক

সম্প্রতি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় পশ্চিমবঙ্গের এক বাসিন্দার। পঞ্চাশোর্ধ্ব এই মহিলার করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হন।

এই বিষয়ে খোঁজ করতে গিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, যেসব রোগীকে অনেক দিন ধরে আইসিইউ-তে রেখে চিকিৎসা করতে হয়েছে, বা দীর্ঘদিন শরীরে পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন দিতে হয়েছে, তাঁদের শরীরের এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে। কারণ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ফাঙ্গাসের ইনফেকশন ছড়াচ্ছে অক্সিজেন সিলিন্ডারের হিউমিডিফায়ার থেকেই। 

রোগী দের অক্সিজেন দেওয়ার জন্য ব্যাবহৃত সিলিন্ডারের সাথে একটি পাত্রে ডিস্টিলড ওয়াটার থাকে। এর মধ্যে দিয়ে অক্সিজেন যায়। এই পাত্র টিকেই হিউমিডিফায়ার বলা হয়। চিকিৎসকদের মতে, হিউমিডিফায়ার যদি নিয়মিত জীবানু মুক্ত না করা হলে সেখানে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের মতন জীবাণুর জন্ম হয়। তারপর এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগীর শরীরের ভেতরে ঢুকে মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে। 

চিকিৎসকরা ভরসা দিয়েছেন সব জায়গা পরিষ্কার থাকলে তাতে কোনও সমস্যা হবে না। হিউমিডিফায়ারে ভেতরে ডিস্টিলড ওয়াটার থাকে। তাই এটিকে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হয়। যাতে হিউমিডিফায়ার টি ভালো থাকে। 

এখন অনেকে প্রশ্ন তুলতে পারেন,অক্সিজেন দেওয়ার জন্য হিউমিডিফায়ারের ব্যবহার তো বহু আগের থেকে চলে আসছে। তাহলে হঠাৎ এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের আবির্ভাব কোথা থেকে হলো? চিকিৎসকদের মতে, আগে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা করোনা রোগীর থেকে ভাল ছিল। শরীরের সাধারণ রোগ প্রতিরধক্ষমতাই ভাইরাস, ফাঙ্গাস আটকে দিত। এখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের স্টেরয়েড দেওয়া হচ্ছে। ডায়াবিটিস আছে অনেকের। ইমিউনিটি কমে যাচ্ছে। ইমিউনিটি কমে গেলে অ্যাটাক করছে। 

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাবস্থা নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। করোনা-মহামারীর মধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস যাতে অধিক না ছড়ায়, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।

Related posts

চারদিন নয় মহালয়ায় মাত্র একদিনের জন্যই দুর্গা পূজো হয় এই দামোদর তীরবর্তী গ্রামে

News Desk

শুধু স্বাদে নয় সাস্থেও অতুলনীয় ইলিশ! রইল ইলিশ মাছ খাওয়ার ১০টি উপকারিতা

News Desk

একটু আগেই সদ্যোজাতদের দুধ খাইয়ে এসেছিল মা! তারপরেই ঘটে গেল এমন দুর্ঘটনা

News Desk