উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে এমনই এক বাইক চোর চক্রের পর্দাফাঁস করেছে পুলিশ, যারা নিজেদের প্রেমিকা বা বান্ধবীর দামি দামি জিনিসের শখ পূরণ করার টাকা জোগাড় করতে বাইক চুরি করে বিক্রি করতো। বাইক চোর চক্রের মূল হোতা বিবেক পাল সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সব থেকে আশ্চর্য্যের কথা হচ্ছে এই গ্যাং এর বেশিরভাগ যুবকই শিক্ষিত।
এই গ্যাং এর দ্বারা চুরি হওয়া ২৪টি বাইকও উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, গত ৩ বছর ধরে বাইক চোর চক্রটি বাইক চুরির ঘটনা ঘটিয়ে আসছিল। শুধু তাই নয়, গ্রেফতারকৃত চক্রের কাছ থেকে গাড়ির জাল কাগজপত্র তৈরিতে ব্যবহৃত ল্যাপটপসহ আরও অনেক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের হাতে ধরা পড়া চক্রের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা তাদের গার্লফ্রেন্ডের শখ মেটানোর জন্য চুরি করত।
লকডাউনে থেকে শুরু হয়েছিল বাইক চুরির কাজ। গোটা দেশ যখন কোভিড-১৯-এর মহামারীর সঙ্গে লড়াই করছিল, সেই সময়ে অনেক লোক চাকরিও হারিয়েছিল। এই গ্যাং এর অনেকেও লকডাউনে তাদের চাকরি হারিয়েছিল, এবং আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এর পর তারা বাইক চুরি করার সিদ্ধান্ত নেয়।
গ্যাং লিডার বিবেক পাল তার সঙ্গী মনীশের সাথে মিলে বাইক চুরি করতে শুরু করে, এর পরে আরও চার সদস্যও এই দলে যোগ দেয়। পুলিশের হাতে ধরা পড়া এই দলটি প্রয়াগরাজ শহর ও তার আশেপাশের এলাকা থেকে বাইক চুরি করত।
গ্যাং সদস্যদের প্রত্যেকের একজন করে বান্ধবী ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এই গ্যাংয়ের প্রধান গ্যাংস্টার বিবেক পাল বিএসসি পড়েছেন এবং তার সঙ্গী মনীশও স্নাতক। গ্রেফতারকৃত চক্রের অন্য সদস্যরাও যথেষ্ট শিক্ষিত।
এই বাইক চোর চক্রটি চুরি করা বাইক খুব সস্তায় বিক্রি করত। জাল কাগজপত্র তৈরি করে সত্তর থেকে আশি হাজার টাকার বাইক বিক্রি করে দিত মাত্র ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায়।
প্রয়াগরাজের এসএসপি অজয় কুমারের মতে, বাইক চুরিকারী এই দলের বিরুদ্ধে গ্যাংস্টার আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চুরির ঘটনা ঘটিয়ে অর্জিত সম্পত্তিও চিহ্নিত করে বাজেয়াপ্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।